• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Advertise your products here

  1. আইন ও আদালত

অবশেষে হত্যা মামলা থেকে জামিন পেলেন আমাতুল্লাহ বুশরা


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: রবিবার, ০৮ জানুয়ারী, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:০৪ পিএম
অবশেষে-হত্যা-মামলা-থেকে-জামিন-পেলেন-আমাতুল্লাহ-বুশরা
আমাতুল্লাহ বুশরা

 

বুয়েটের শিক্ষার্থী মোঃ ফারদিন নূর পরশ (২৪) এর হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার করা আমাতুল্লাহ বুশরার আদালত জামিন দিয়েছেন। 

ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত ঢাকা মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালতে আজ রোববার (৮ জানুয়ারি ২০২৩) আবার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এই দিন আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদল আদালতে আমাতুল্লাহ বুশরার পক্ষে শুনানি করেন। এই দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন ফারদিনের বাবাও। শুনানি শেষে জামিন দেয়ার আদেশ দেন আদালত।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুর রহমান জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুশরার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয় ৫ জানুয়ারি একই আদালতে। বুশরার জামিনের বিষয়ে আদেশের জন্য শুনানি শেষে আদালত ৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন।

আরও পড়ুন>> মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর দায় স্বীকার করেছে ছাত্রলীগ

‘ফারদিনকে হত্যা করে তার লাশ গুম’ করার অভিযোগে ফারদিনের বাবার করা মামলায় বুশরাকে গ্রেফতার করা হয় গত ১০ নভেম্বর সকালে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে। ওই দিনই তাকে আদালতে হাজির করে রামপুরা থানা-পুলিশ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শুনানি শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

১৬ নভেম্বর আদালতে হাজির করে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে বুশরাকে। এরপর তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মামলার ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মজিবুর রহমান ও তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে জামিনের আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ। নিখোঁজ ছিলেন ফারদিন গত ৫ নভেম্বর থেকে। ওইদিনই রাজধানীর রামপুরা থানায় তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিখোঁজের দুদিন পরই নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করে নৌ পুলিশ ফারদিন নূর পরশের মরদেহ।

পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ফারদিনের মরদেহ ৮ নভেম্বর সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় দাফন করা হয় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দেউলপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে। ‘ফারদিনকে হত্যা করে তার লাশ গুম’ করার অভিযোগে মামলা করা হয় এ ঘটনায় বুশরাসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে। নিহত ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে এ মামলা করেন রামপুরা থানায়।

 

পুনরুত্থান/এসআর/মিজান/সোহান

দৈনিক পুনরুত্থান / স্টাফ রিপোর্টার

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন