• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২

Advertise your products here

  1. আর্ন্তজাতিক

গাজা যুদ্ধ বন্ধে সব পক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান ট্রাম্পের


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: সোমবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০১:০৯ পিএম
গাজা যুদ্ধ বন্ধে সব পক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান ট্রাম্পের

গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ‘দ্রুত পদক্ষেপ নিতে’ আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার মিসরে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পরোক্ষ শান্তি আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে, যেখানে মধ্যস্থতাকারীরা একত্র হবেন। এই আলোচনা শুরু হচ্ছে এমন এক সময়ে, যখন হামাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার কিছু অংশে সম্মতি জানিয়েছে।

২০ দফা চুক্তির মধ্যে রয়েছে, জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজার প্রশাসন ফিলিস্তিনি প্রযুক্তিবিদদের হাতে হস্তান্তর।

তবে অন্য কিছু বিষয়ে আলোচনার সুযোগ রাখতে চায় তারা। হামাসের প্রতিক্রিয়ায় তাদের নিরস্ত্রীকরণ বা ভবিষ্যতে গাজার প্রশাসনে কোনো ভূমিকা না রাখার শর্তের বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লেখেন, ‘আলোচনাগুলো খুব সফলভাবে এগোচ্ছে। আমাকে জানানো হয়েছে প্রথম ধাপটি এই সপ্তাহেই সম্পন্ন হওয়া উচিত, এবং আমি সবাইকে অনুরোধ করছি দ্রুত এগোতে।

’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট  আরো সতর্ক করে বলেন, ‘সময় এখানে অত্যন্ত গুরুত্বর্পূ। দ্রুত না হলে ব্যাপক রক্তপাত ঘটবে।’ এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, তিনি আশা করছেন খুব শিগগিরই জিম্মিদের মুক্তি শুরু হবে।

যখন সাংবাদিকরা তার শান্তি পরিকল্পনায় নমনীয়তার ব্যাপারে জানতে চান, তখন ট্রাম্প জবাব দেন, ‘নমনীয়তার প্রয়োজন নেই।

কারণ প্রায় সবাই এর সঙ্গে একমত হয়েছে। তবে কিছু পরিবর্তন সবসময়ই হতে পারে। এটি ইসরায়েলের জন্য দারুণ একটি চুক্তি। এটি আরব বিশ্ব, মুসলিম বিশ্ব এবং সমগ্র বিশ্বের জন্যই একটি ভালো সমাধান। আমরা এ নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট।

’শুক্রবার হামাসের প্রস্তাবিত পরিকল্পনার জবাব পাওয়ার পর ট্রাম্প ইসরায়েলকে ‘অবিলম্বে বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে’ বলেছিলেন। কিন্তু গাজায় হামলা থেমে নেই।  রবিবার ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র শোশ বেড্রোসিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাজা উপত্যকার কিছু অংশে হামলা বাস্তবেই বন্ধ হয়েছে, তবে এই মুহূর্তে কোনো যুদ্ধবিরতি কার্যকর নেই।’

বেড্রোসিয়ান আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেনাদের নির্দেশ দিয়েছেন ‘প্রতিরক্ষামূলক কারণে পাল্টা হামলা চালাতে… যদি গাজায় যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের জীবনের ঝুঁকি দেখা দেয়।’ গাজা থেকে পাওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার রাতভর এবং রবিবার সকাল পর্যন্ত ইসরায়েল বিমান হামলা ও ট্যাংক গোলাবর্ষণ চালিয়ে গেছে। এতে গাজা সিটির বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়েছে।

রবিবার সকালে ইসরায়েলের কিবুতজ বেরি সীমান্তের কাছে থাকা বিবিসির এক সংবাদদাতা গাজার ভেতর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখেছেন।

গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দুপুর পর্যন্ত ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে আরো ৬৫ জন নিহত হয়েছেন। এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বিবিসির মার্কিন সহযোগী সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে বলেন, জিম্মিদের মুক্তির জন্য বোমাবর্ষণ বন্ধ করা জরুরি। তিনি বলেন, ‘এখনো বোমাবর্ষণ চলছে, এর মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি সম্ভব নয়… সেটি বন্ধ করতে হবে। তবে একই সঙ্গে অন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সম্পর্কেও কাজ করতে হবে।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমরা যত দ্রুত সম্ভব জিম্মিদের মুক্ত করতে চাই।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনায় তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি এবং ৪৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। জিম্মিদের মধ্যে মাত্র ২০ জনের জীবিত থাকার আশঙ্কা রয়েছে। বিনিময়ে শত শত আটক ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। শনিবার এক টেলিভিশন ভাষণে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, তিনি আশা করছেন ‘আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই’ জিম্মিদের মুক্তির ঘোষণা দিতে পারবেন।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন