• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২

Advertise your products here

  1. আর্ন্তজাতিক

ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন রাগাসা, হংকংয়ে বিমানবন্দর-স্কুল বন্ধ ঘোষণা


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০২:৪০ পিএম
ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন রাগাসা, হংকংয়ে বিমানবন্দর-স্কুল বন্ধ ঘোষণা

প্রবল শক্তি নিয়ে হংকংয়ের দিকে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন রাগাসা। এর প্রভাবে ইতোমধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে উপকূলের বাসিন্দাদের। এছাড়া দেশটির স্কুল ও বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হংকংয়ের ওপর দ্রুতগতিতে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী সুপার টাইফুন ‘রাগাসা’। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশটির প্রশাসন একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। এ জন্য হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৩৬ ঘণ্টার জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ সময়ে সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

হংকং অবজারভেটরি সোমবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ১ নম্বর টাইফুন সতর্কতা সংকেত জারি করেছে এবং রাত ৯টা ৪০ মিনিটে এটি সংকেত নম্বর ৩-এ উন্নীত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে ৪টার মধ্যে সংকেত নম্বর ৮ জারি করা হতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, টার্মিনাল খোলা থাকলেও বিপুলসংখ্যক ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে মঙ্গলবার দুপুর ২টায় এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে হংকংয়ের সরকার মঙ্গলবার ও বুধবার—এই দুই দিন দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

সুপার টাইফুন রাগাসার নাম ফিলিপিনো শব্দ ‘দ্রুতগতি’ থেকে নেওয়া হয়েছে। সোমবার ভোর ৫টায় এটি লুজোন প্রণালী অতিক্রম করেছে। এ সময় টাইফুনের কেন্দ্রস্থলে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২৩০ কিমি পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষক চয় চুন-উইং বলেন, রাগাসার ব্যাপক পরিসর এবং দ্রুত গতি হংকংসহ গুয়াংডং উপকূলে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করছে। এটি সরাসরি হংকংয়ে আছড়ে না পড়লেও এর প্রভাব মাংখুতের চেয়ে বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, টাইফুনের প্রভাবে সমুদ্রের জোয়ারে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। ২০১৭ সালের হাটো ও ২০১৮ সালের মাংখুত টাইফুনের মতো এবারও উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর প্রভাবে তলো হারবারে জোয়ারের উচ্চতা ৪ থেকে ৫ মিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া হংকংয়ের নিম্নাঞ্চল যেমন লেই ইউ মুন, হেং ফা চুয়েন, তুয়েন মুনের গ্রাম এবং তাই ও এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি কা-চিউ বলেন, ইতোমধ্যেই সিকিউরিটি ব্যুরোকে জরুরি মনিটরিং ও সাপোর্ট সেন্টার সক্রিয় করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী ও বিভাগীয় প্রধানদের প্রস্তুতি জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন