১৯ বছরে পা রাখল দুর্নীতি দমন কমিশন

দুর্নীতি দমন ব্যুরো থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মাঝখানে কেটে গেছে ১৯ বছর। দুর্নীতি দমন, নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরোধ এবং উত্তম চর্চার বিকাশের উদ্দেশ্য নিয়ে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর।


এরপর দেখতে দেখতে কৈশোর পেরিয়ে ২০তম বছরে পা রাখল রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের একমাত্র প্রতিষ্ঠানটি। বিচারপতি সুলতান হোসেন খানের নেতৃত্বে প্রথম কমিশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালে।
এরপর যথাক্রমে সাবেক সেনাপ্রধান হাসান মশহুদ চৌধুরী, গোলাম রহমান, মো. বদিউজ্জামান ও ইকবাল মাহমুদের পর ২০২১ সালের ১০ মার্চ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। যেখানে কমিশনার অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগের কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন আছিয়া খাতুন ও মো. জহুরুল হক।
২০১৬ সালের ১০ মার্চ দুদকের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব ইকবাল মাহমুদ। পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন শেষে গত ২০২১ সালে কমিশন থেকে তিনি বিদায় নেন। তখন প্রতিবছর শতাধিক আসামি গ্রেপ্তার করার নজির সৃষ্টি করেছিল দুদক।
পরে মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর আসামি গ্রেপ্তার বলতে গেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার কমিশন ইতোমধ্যে আড়াই বছরের বেশি সময় পার করেছে বলে জানা গেছে।
১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জন্মদিনে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়েছে।


অন্যদিকে দুদকের বিগত পাঁচ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা ও অভিযোগপত্র অনেকটা কমেছে। দুর্নীতির মামলার আসামি গ্রেপ্তার নেই বললেই চলে। জনগণের প্রত্যাশা সেভাবে পূরণ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। উল্টো বিভিন্ন সময়ে চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
অথচ শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন; বিদ্যমান কার্যপদ্ধতি পর্যালোচনা করে দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং শিক্ষা, উত্তম চর্চার বিকাশ ও সচেতনতামূলক প্রচারের মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধ করার লক্ষ্য পূরণ করা কথা ছিল দুদকের।
দৈনিক পুনরুত্থান / নিজস্ব প্রতিবেদক
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আপনার মতামত লিখুন: