• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Advertise your products here

  1. সারাদেশ

মারধরের পর আছাড় দিয়ে ছাত্রের মেরুদণ্ড ভাঙলেন মাদ্রাসা শিক্ষক!


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২:০৮ পিএম
মারধরের_পর_আছাড়_দিয়ে_ছাত্রের_মেরুদণ্ড_ভাঙলেন_মাদ্রাসা_শিক্ষক
ফাইল ফুটেজ

মাদারীপুর সদরে কথা না শোনায় এক মাদ্রাসা ছাত্রকে বেদম মারধর ও আছাড় দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে ওই ছাত্রের। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (৬ নভেম্বর) ঘটনা ঘটলেও বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়। আহত ওই ছাত্রের নাম ফায়েজ হাওলাদার (৮)। সে মাদারীপুর সদর উপজেলার নয়াচর গ্রামের সবুজ হাওলাদারের ছেলে। অভিযুক্ত মেহেদি হাসান মাদারীপুরের চরমুগরিয়া এলাকার জামিয়া কাসেমিয়া রওতুল উলুম ক্যারেট কেয়ার মাদ্রাসার নুরানি বিভাগের শিক্ষক।

স্বজনদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোরে মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের শিক্ষার্থী ফায়েজকে ঘুম থেকে শ্রেণিকক্ষে ডেকে নেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মাহাদি হাসান। এসময় ফায়েজকে শ্রেণিকক্ষে উঠে দাঁড়াতে বলেন তিনি। শিক্ষকের কথামতো না দাঁড়িয়ে শ্রেণিকক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে ওই ছাত্র। এতে রাগান্বিত হয়ে ফায়েজকে বেত্রাঘাত করেন শিক্ষক মাহাদি হাসান। একপর্যায়ে তুলে আছাড় দেন তিনি।

মারধরের পর আছাড় দিয়ে ছাত্রের মেরুদণ্ড ভাঙলেন মাদ্রাসা শিক্ষক!

পরে বিষয়টি কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকিও দেন অভিযুক্ত শিক্ষক। পরদিন (মঙ্গলবার) আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে ফায়েজকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়ে শিশুটির মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে। বুধবার (৮ নভেম্বর) রাতে শিশুটিকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শিশু ফায়েজের মামা সাহাবুদ্দিন ব্যাপারী বলেন, ‘মাদ্রাসায় মানুষ তার ছেলেমেয়েকে কিছু শেখানোর জন্য দেয়। কিন্তু মাহাদী হাসান যে কাজটি করেছে এর বিচার হওয়া দরকার। আট বছরের শিশুর সঙ্গে এমন অত্যাচার কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’

মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষার্থীর ভাষ্যমতে, হঠাৎ রেগে গিয়ে ফায়েজের ওপর এমন অত্যাচার করেন শিক্ষক মাহাদী। একপর্যায়ে তাকে তুলে আছাড় দেওয়ার পাশাপাশি লাথি মারেন ওই শিক্ষক।

মারধরের পর আছাড় দিয়ে ছাত্রের মেরুদণ্ড ভাঙলেন মাদ্রাসা শিক্ষক!

শিশুটির মা শ্যামলী আক্তার বলেন, ‘আমার ছেলেকে শুধু অত্যাচার করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি শিক্ষক। কাউকে বিষয়টি জানালে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’

এ বিষয়ে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম খান বলেন, বিষয়টি এরইমধ্যে জেলা পুুলিশের নজরে এসেছে। ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষক মাহাদী হাসানকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মাওলানা ইমরুল কায়েস।

দৈনিক পুনরুত্থান / নিজস্ব প্রতিবেদক

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন