• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Advertise your products here

  1. জাতীয়

বিএনপির কথা এবং কাজ সবই ধ্বংসাত্মক : প্রধানমন্ত্রী


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:০৭ পিএম
বিএনপির_কথা_এবং_কাজ_সবই_ধ্বংসাত্মক_প্রধানমন্ত্রী
ফাইল ফুটেজ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি এখন নির্বাচন নিয়ে কথা বলে, নিয়ে তারা নানা কথা বলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। সমালোচনা আমি এখন করতে চাই না। সবই ধ্বংসাত্মক এদের কথা এদের কাজ।

দেশবাসীকে আমি এ ব্যাপারে সতর্ক করব। আজকের উন্নয়ন ধ্বংস করুক, সেটা আমরা চাই না। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা অনেক ভালো কাজ করেছি, ভালো কথাই বলতে চাই। যখন আমরা ২০০৯ সালে সরকারে আসি, কী ভাবে উন্নয়ন গড়ে তুলবো তখন সারা বাংলাদেশে সেই প্রচেষ্টা আমরা চালাই।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় ১৫০টি সেতু, স্বয়ংক্রিয় মোটরযান ফিটনেস পরীক্ষা কেন্দ্র, ১৪টি ওভার পাস, বিআরটিসির ময়মনসিংহ বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ডিটিসিএ ভবন, ময়মনসিংহের কেউট খালি ও রহমতপুর সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন এবং সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি এ কথা বলেন ক্ষতিপূরণ প্রদান অনুষ্ঠানে।

শেখ হাসিনা বলেন, 'তারা দেশকে কী দিয়েছে ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল? তারা দেশের মানুষের জন্য কতটুকু করেছে? তারা দেশের কতটুকু উন্নতি করেছে, সেটাই হলো বড় প্রশ্ন। আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে, তখনই এ দেশের উন্নয়নে জাতির পিতার আদর্শ-পদাঙ্ক অনুসরণ আমরা করেছি। তার আদর্শ নিয়ে আমরা কাজ করেছি।'

তিনি বলেন, 'সারা বাংলাদেশে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত যতগুলো ব্রিজ, পুল ব্রিজ, রাস্তা-ঘাট আমরা করেছি সব হিসাব দিতে গেলে অনেক সময় লাগবে।' এ সময় উল্লেখযোগ্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের বর্ণনা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। 

শেখ হাসিনা বলেন, '২০০১ সালে সরকারে আসতে পারিনি, সেটা আমি বহুবার বলেছি। কারণ আমাদের গ্যাস অন্য দেশ কিনবে; আমি রাজি হইনি। খেসারত দিতে হয়েছে, ক্ষমতায় আসতে পারিনি। জনগণের ভোট পেয়েছিলাম কিন্তু চক্রান্তের শিকার হয়েছিলাম। তার পরে দেশটার অবস্থা কী হয়েছিল? বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি—অপশাসনের কারণে এ দেশে ইমার্জেন্সি ঘোষণা হয়। তার আসে আর্মি ব্যাকড তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

'সেই সময়টার কথা একবার চিন্তা করে দেখেন মানুষের কী দুরাবস্থা ছিল। ব্যবসা-বাণিজ্য করার কোনো সুযোগ ছিল না। বিএনপির আমল থেকে যে অত্যাচার নির্যাতন শুরু হয়েছিল এ দেশের মানুষের ওপর, তারই ধারাবাহিকতা চলতে থাকে। যা হোক একটা পর্যায়ে ২০০৮ সালে তারা নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়,' বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, '২০০৮ এর নির্বাচনের রেজাল্ট; ২০ দলীয় ঐক্যজোট বিএনপি-জামায়াত পেয়েছিল মাত্র ২৯টি সিট। পরে বোধ হয় রিইলেকশনে একটা—৩০টা। ৩০০ সিটের মধ্যে তাদের প্রাপ্তি ছিল মাত্র ৩০টি সিট। এই হলো তাদের শক্তি, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা।

'নির্বাচন নিয়ে এখন তারা কথা বলে। নানা কথা বলে, অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন। এখন সমালোচনা করতে চাই না সেটা নিয়ে আমি কারণ ভালো কথাগুলো বলে যেতে চাই অনেকগুলো ভালো কাজ করেছি কিন্তু এদের কথা এবং সবই ধ্বংসাত্মক এদের কাজ। আমি সতর্ক করতে চাই এ ব্যাপারে দেশবাসীকে। আজকে এই উন্নয়নগুলো ধ্বংস করুক সেটা আমরা চাই না,' যোগ করেন তিনি।

 

পুনরুত্থান/সালেম/সাকিব/এসআর 

দৈনিক পুনরুত্থান / নিজস্ব প্রতিবেদক

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন