শিক্ষকের ফেসবুকে ১৮৭ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ১৮৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির প্রথম সাময়িক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ফাঁস করলেন এক শিক্ষক। মঙ্গলবার শিক্ষকের এমন কাণ্ডে উপজেলায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।


বুধবার ইংরেজি বিষয়ে এ প্রশ্নপত্র দিয়ে চতুর্থ শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়ার কথা। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়েছে উপজেলার সচেতন মহল।
জানা গেছে, মঙ্গলবার উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের ১৭২নং খাগবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানদা চাঁদ উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে ইংরেজি বিষয়ে চতুর্থ শ্রেণির প্রথম সাময়িক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে তার অফিসের টেবিলে রাখেন।
এ প্রশ্ন দেখার কথা বলে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রঞ্জিত কুমার ঘোষ মোবাইলে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেন। এই পোস্ট মূহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়।
উপজেলার কান্দি গ্রামের সমাজসেবক রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক রঞ্জিত কুমার ঘোষ মোবাইলে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। এ প্রশ্নপত্র উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশ্নপত্রের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া তার মোটেও ঠিক হয়নি। আমরা তদন্তপূর্বক ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।
১৭২নং খাগবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানদা চাঁদ বলেন, মঙ্গলবার উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে ইংরেজি বিষয়ে চতুর্থ শ্রেণির প্রথম সাময়িক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে আমার অফিসের টেবিলে রাখি।


টেবিল থেকে প্রশ্নপত্র দেখার কথা বলে আমার অজান্তে এ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রঞ্জিত কুমার ঘোষ প্রশ্নপত্র মোবাইলে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেন। অনেকে ফেসবুকে এ প্রশ্নপত্র দেখে আমাকে জানিয়েছেন। আমি বিষয়টি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বুধবার ইংরেজি বিষয়ে এ প্রশ্নপত্র দিয়ে চতুর্থ শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়ার কথা।
১৭২নং খাগবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রঞ্জিত কুমার ঘোষ বলেন, মোবাইলে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলতে গিয়ে ভুলবশত এটি আমার ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট হয়ে যায়। বিষয়টি আমি জানার পরে ফেসবুক থেকে প্রশ্নপত্রটি ডিলেট করে দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মঈনুল হক বলেন, যদি কেউ আইনবহির্ভূত কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়, তার বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। উপজেলা প্রশাসন কোনো ধরনের দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না, দেবেও না। দোষীদের বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে আহবায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেব।
দৈনিক পুনরুত্থান /
- বিষয়:
- শিক্ষক
- প্রশ্নপত্র ফাঁস
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আপনার মতামত লিখুন: