• ঢাকা
  • রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

তালতলী ইকোপার্ক সংলগ্ন সোনাকাটা সেতুটি দ্রুত নির্মানের দাবি এলাকাবাসীর


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: শনিবার, ১০ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:১৭ পিএম
তালতলী ইকোপার্ক সংলগ্ন সোনাকাটা সেতুটি দ্রুত নির্মানের দাবি এলাকাবাসীর

বরগুনা তালতলী উপজেলার ৭ নং সোনাকাটা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সোনাকাটা গ্রামের ইকোপার্ক সংলগ্ন একটি সেতুর কাজ প্রায় আড়াই বছর ধরে বন্ধ আছে। সেতুর কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ জোরালো দাবি জানিয়েছেন। 

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে উপজেলার দক্ষিণা খালের ওপর (স্থানীয় নাম সোনাকাটা খাল) একটি সেতু নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। এ প্রকল্পে ৭২ মিটার দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ৭ মিটার প্রস্থের সেতুটি নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৬,৯৭,৬৪,৭১৫ টাকা। প্রক্রিয়া শেষে বরিশালের আমির ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। সেতুটির দুই পাড়ের অর্ধেক কাজ শেষ হওয়ার পরেও মাঝখানে ২৪ মিটার দৈর্ঘ্যর স্প্যানটি বসানো হয়নি আড়াই বছরেও।

ওই এলাকার কতিপয় ব্যক্তির একটি অভিযোগের ভিত্তিতে সেতুর কাজটি বন্ধ করা হয়েছে। তারা অভিযোগ করেছিলেন সেতুর উচ্চতা কম করা হয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যেই খালের উপরে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে সেটি একটি ছোট খাল। কিছুসংখ্যক ছোট  মাছধরা ট্রলার ছাড়া ওই নদী দিয়ে তেমন কোন জলযান চলাচল করে না। সেতুটি যে উচ্চতায় তৈরি করা হচ্ছে এভাবে যদি তৈরি করা হয় তাহলে এলাকাবাসী কোন সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন এলাকার একাধিক  বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোক। 

সোনাকাটা গ্রামের মৎস ব্যবসায়ী মোঃ মহসিন বলেন, এটি একটি ছোট খাল। এই খাল দিয়ে তেমন কোনো জলযান চলাচল করে না। কিছু সংখ্যক ছোট মাছ ধরা ট্রলার চলে। যে উচ্চতায় এই সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে তাতে টলার চলাচলে কোন সমস্যা হবে না। কোন প্রকার লঞ্চ বা বড় টলার চলাচল করে না। সেতুর অবস্থান থেকে একটু সামনে গেলেই খালটি শেষ হয়ে গেছে। 

সোনাকাটায় বন বিভাগে কর্মরত বনরক্ষী মোঃ জাকির হোসেন বলেন, আমি এখানে গত দেড় বছর আগে যোগদান করেছি। আমার চোখে দেখা এখানে এই নদী দিয়ে তেমন কোন বড় জলযান চলাচল করে না। এটি একটি ছোট খাল কিছু সংখ্যক ছোট মাছ ধরার ট্রলার চলাচল করে। সেতুর যে উচ্চতা আছে সেই উচ্চতায় যদি কাজ সম্পন্ন করা হয় তাহলে এলাকাবাসীর কোন সমস্যা হবে না। 

৭ নং সোনাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনুস ফরাজী বলেন,সেতুরর কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য এলাকাবাসীর জোর দাবি। সেতুর কাজ যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা হয় এইজন্য   এলজিইডিতে আমরা লিখিত দাবী করেছি। যে উচ্চতায় সেতুর কাজ করা হচ্ছে এই উচ্চতায় যদি সেতুর কাজ শেষ করা হয় তাহলে এলাকাবাসীর কোন সমস্যা হবে না।এই নদীতে বড় কোন জলযান চলাচল করে না। কিছু সংখ্যক ছোট মাছ ধরার টলার চলে।আমাদের এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের জোরালো দাবি সেতুর কাজটি যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা হয়। 

তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী  (এলজিইডি) মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সেতুর উচ্চতা কম এমন অভিযোগের  ভিত্তিতে সেতুর কাজটি বন্ধ আছে। এলাকাবাসী আমাদের কাছে একটি লিখিত আবেদনে জানিয়েছেন যাতে দ্রুত সেতুর  কাজ সম্পন্ন করা হয়। এলাকার একাধিক লোক বলেছেন যেই খালের  উপরে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে সেই খালে ছোট কিছু মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা ছাড়া বড় কোন জলযান চলাচল করে না।এটি কোন ভারনি খাল না।আমরা এলজিইডি থেকে একাধিক বার বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নিয়ে সেতুটি  পরিদর্শন করেছি। 

বরগুনা জেলার এলজিইডি নির্বাহী  প্রকৌশলী মোঃ মেহেদী হাসান খান বলেন, সেতুর উচ্চতা কম এমন একটি অভিযোগের ভিত্তিতে সেতুর কাজটি বন্ধ আছে। সরেজমিনে আমি আমার টিম নিয়ে বেশ কয়েকবার সেতুটি পরিদর্শন করেছি। এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক একটি লিখিত আবেদন পেয়েছি। আবেদনে তারা উল্লেখ করেছেন তাদের এলাকাবাসীর দাবি সেতুর কাজটি যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা হয়। আমি এলজিইডির উপরস্থ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। আমরা চেষ্টা করব যত দ্রুত সম্ভব সেতুর কাজটি পুনরায় শুরু করে সম্পন্ন করার।আমি ঠিকাদারের সাথেও যোগাযোগ করেছি ঠিকাদার ও আগ্রহী আছে কাজ করানোর জন্য।।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন