• ঢাকা
  • বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

বরগুনায় লেক ভিউ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চলছে অনিয়ম দুর্নীতি


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৫৪ এএম
বরগুনায় লেক ভিউ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চলছে  অনিয়ম দুর্নীতি

বরগুনা লেক ভিউ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রতিনিয়ত কয়েকজন ডাক্তার বসেন। ডাক্তারেরা  রোগী দেখে বিভিন্ন টেস্ট দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন রকমের টেস্ট ওই ক্লিনিকে করা হয়।

গত ৩০ এপ্রিল ২০২৫ রোজ বুধবার মোঃ মুছা( ১৩) নামক  একজন শিশু চিকিৎসার জন্য ওই ক্লিনিকে আসেন। ডিএমএফ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মুসাকে দেখেন এবং কিছু মেডিসিন চিকিৎসা পত্রে লিখে দিয়েছেন। ডাক্তার দেখিয়ে মেডিসিন কিনে মুসা বাড়ি চলে যায়। আশায় অনুরূপ সুস্থ না হলে ০৩ মে ২০২৫ ইংরেজি তারিখ রোজ শনিবার আবার একই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসার জন্য আসেন।ডাক্তার  সাহেব রোগী দেখার পরে তিনটি টেস্ট দেন। টেস্টগুলো লেক ভিউ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করানো হয়।লেক ভিউ ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে যে রিপোর্ট প্রদান করা হয় সেই রিপোর্টে রিপোর্ট প্রস্তুতকারক এবং ডাক্তারের কোন সিল বা স্বাক্ষর নেই। এভাবে রিপোর্ট দিয়ে বিভিন্ন রোগীদেরকে হয়রানি করা হয়।সরকারি নিয়ম নীতি তোয়াক্কা  করে তারা ক্লিনিক পরিচালনা করেন। 

বরগুনা জেলার  সিভিল সার্জন এর অফিসের তথ্য মোতাবেক বরগুনার বিভিন্ন উপজেলায় সর্বমোট ১২১ টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। বরগুনা সদর ৪৩ টি,পাথরঘাটা ২৯ টি,বামনা ০৯ টি,বেতাগী ১২ টি,আমতলী ২০ টি এবং তালতলী ০৮ টি সর্বমোট ১২১ টি। 

রোগী মুছার আপন  বড় ভাই মোঃ সাকিবুল হাসান বলেন,ডাক্তার মোস্তাফিজ  সাহেব আমার ভাইকে বিভিন্ন রকমের মেডিসিন দিয়েছেন। ডাক্তার রোগীকে সাতটি ইনজেকশন দিয়েছেন। প্রতিদিন একটা করে ইনজেকশন করার জন্য।প্রথম ইনজেকশন টি করার পরে জ্বর অনেক বেড়ে যায়। ডাক্তারকে জানানো হলে ডাক্তার বলেন সমস্যা নেই সুস্থ হয়ে যাবে। পরের দিন আবারো ইনজেকশন করা হয়। ইনজেকশন করার পরে রোগীর অবস্থা অসংখ্যজনক হয়ে পড়ে। ডাক্তারকে পুনরায় জানালে ডাক্তার ইনজেকশন করতে না করে এবং চিকিৎসা পত্রে লেখা অন্য ওষুধ খেতে বলে। রোগীর অবস্থা অসংখ্যজনক হলে আমরা রোগীকে ঢাকা বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাই।

ঢাকায় গিয়ে অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ আবু তৈয়ব সাহেব কে দেখাই।  সেখানে চিকিৎসা করানো হলে রোগী সুস্থ হয়। বরগুনা লেক ভিউ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যে টেস্ট গুলো করানো হয়েছে একই টেস্ট ঢাকায় পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেডে করানো হয় সেই টেস্ট রিপোর্টের সাথে বরগুনার টেস্ট রিপোর্টের কোন মিল নেই। আমার প্রত্যাশা ভুল চিকিৎসার কারণে তো আমার ভাই মারাও যেতে পারতো।যদি আমার ভাই মারা যেত তাহলে তার দায়ভার কে নিতো। পরবর্তীতে যাতে অন্য কোন মানুষ এ রকমের ভুল চিকিৎসার সম্মুখীন না হয় সেজন্য আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। 

এ বিষয়ে চিকিৎসাধীন ডাক্তার এবং রিপোর্ট প্রস্তুতকার কারক ল্যাব টেকনিশিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বর্তমানে একটা মিটিং এর জন্য ঢাকায় আছি। এই ধরনের মানহীন এবং অনুনমোদিত ক্লিনিক গুলো বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসকের সহায়তায় স্বাস্থ্য প্রশাসন অতিসত্বর একটি ক্র্যাস প্রোগ্রামের উদ্যোগ নিবেন। এদের বিরুদ্ধে খুব কঠিন একটা অভিযান  করা হবে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন