• ঢাকা
  • শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

আ. লীগের নিবন্ধন বাতিল ও কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে হবে : নাহিদ ইসলাম


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:১৬ পিএম
আ. লীগের নিবন্ধন বাতিল ও কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে হবে : নাহিদ ইসলাম

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল এবং বিচার চলাকালীন দলটির রাজনৈতি ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তানে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে আয়োজিত সমাবেশে এই দাবি জানান তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ৯ মাস আমাদের আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন করতে হচ্ছে, এটা আমাদের সামষ্টিক ব্যর্থতা।  তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত করেছে।

তারা ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে নিরাপদ আলেম সমাজের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। একইভাবে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং সর্বশেষ জুলাইয়ে ছাত্রজনতার আন্দোলনে হামলা, গুলি ও গণহত্যা চালিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। এটি একটি ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী সংগঠন। গণহত্যার বিচার চলাকালীন তাদের  নিবন্ধন বাতিল করে সাংগঠনিক ও রাজনৈতি কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। নাহিদ ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তারা জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন। বিভিন্ন দল তাদের পুনর্বাসন করছে। 

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এ সরকারের আমলে গঠিত নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের লোকদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য ঘোষণা করতে সম্মত নয়। অথচ নির্বাচন সংস্কার কমিশন তার প্রতিবেদনে এই আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য ঘোষণার সুপারিশ করেছে। কিন্তু সংস্কার কমিশনের সঙ্গে ইসি সম্মত না হয়ে কার পারপার্স সার্ভ করছে? 

নাহিদ বলেন, জাতিসংঘ তার প্রতিবেদন স্পষ্টভাবে বলেছে শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগ এদেশে ১৪০০ মানুষকে হত্যা করেছে। কিন্তু কিছু সাংবাদিক শেখ হাসিনাকে গণহত্যাকারী বলতে চান না। তাদের উদ্দেশে বলি, আপনারা সাংবাদিক নন, আপনার হাসিনার দোসর।  তিনি আরো বলেন, সুষ্পষ্টভাবে বলতে চাই, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। বিচার চলাকালীন দলটির দলীয় কর্মকাণ্ড আইন করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, আমরা জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে বলেছিলাম। কিন্তু বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে সেই ঘোষণাপত্র এখনও দেওয়া হয়নি। ভুলে গেলে চলবে না, শহীদ ও আহতদের রক্তের উপর দাড়িয়ে আপনারা এদেশে রাজনীতি করতে পারছেন; ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছে।

তিনি বলেন, আমরা বলছি, মৌলিক সংস্কারের উদ্দেশ্যে জুলাই সনদ দিতে হবে। সেখানে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি সুষ্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা নতুন সংবিধানের দাবি জানিয়েছি। গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। শহীদ ও আহতদের পরিবারের মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। 

নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই আন্দোলনে দেশের মানুষ আমাদের ওপর যে আস্থা রেখেছিল আগামীতেও সে আস্থা রাখবে। আমরা দ্রুতই সুসংঠিত হব, দ্রুতই জনগণের কাছে যাব। প্রতিটি ঘরে ঘরে যাব এনসিপির আহ্বান নিয়ে। 

সভায় আরো বক্তব্য দেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দীন মাহাদী, যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক মুজাহিদ, যুগ্ম সদস্যসচিব হুমায়রা নূর, যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকার, যুগ্ম সদস্যসচিব তাহসীন রিয়াজ, সংগঠক রফিকুল ইসলাম আইনী, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলী নাছের খান, সংগঠক মোস্তাক আহমেদ শিশির, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লাহ হায়দার, কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ আতাউল্লাহ ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ খালেদ সাইফুল্লাহর বাবা কামরুল হাসান।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন