ভারতীয় নিষেধাজ্ঞায় আখাউড়ায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে স্থবিরতা

স্থল সীমান্তপথে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর সীমান্তপথে বাংলাদেশ থেকে পূর্বোত্তর ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামে ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাবপত্র রপ্তানির নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে।


ফলে রোববার সকাল থেকে আখাউড়া স্থলশুল্ক স্টেশন দিয়ে মাছ ব্যতীত সব ধরনের পণ্য সামগ্রী ভারতে রফতানি বন্ধ হয়ে পড়ে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দর দিয়ে নির্দিষ্ট কিছু পণ্য আমদানিতে ভারত সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আখাউড়া স্থলবন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য। প্রতিদিন যেখানে অর্ধশতাধিক ট্রাকে করে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী এপথে ভারতে রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে আসছে। সেখানে নিষেধাজ্ঞার কারণে কিন্তু রোববার আখাউড়া স্থলবন্দর সীমান্তপথে ভারতে মাত্র তিন গাড়ি মাছ ভারতের ত্রিপুরায় রফতানি হয়েছে। এতে রপ্তানি বাণিজ্যে হঠাৎই স্থবিরতা চলে আসে। বন্দরের ব্যবসায়ীদের মাঝে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রায় ৪২৭ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়। এদিকে চলতি অর্থবছরে ২০২৫-২৫ অর্থবছরের ৯ মাসে অর্থাৎ (জুলাই-এপ্রিল মাস পর্যন্ত) আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ৪৫৩ কোটি টাকার পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়।
রপ্তানিকৃত পণ্যের মধ্যে প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফল, ফলের জুস, তুলা, প্লাস্টিক, পিভিসি সামগ্রী ছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন দ্রব্যাদি রয়েছে। তবে এসব পণ্যের মধ্যে তৈরি পোশাক ও কাঠের ফার্নিচার ছাড়া বাকি সব পণ্যই আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হয়, যা বন্দরের রপ্তানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
আখাউড়া বন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মাহমুদুল হাসান জানান, কর্মচাঞ্চল্য আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে স্থবিরতা বিরাজ করছে। ভারতের এ ধরনের সিদ্ধান্তের কারণে রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও তিনি মনে করেন।


দৈনিক পুনরুত্থান /
- বিষয়:
- ভারত
- আমদানি-রপ্তানি. বাণিজ্য
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আপনার মতামত লিখুন: