ইউক্রেনে রাশিয়ার জয় আসবেই : নববর্ষের ভাষণে পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নববর্ষ উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে বুধবার বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘জয় আসবেই’।
ইউক্রেনে প্রায় চার বছরের এই অভিযানে দুই পক্ষের সামরিক হতাহতের সংখ্যা কয়েক লাখ পর্যন্ত পৌঁছেছে বলে ধারণা করা হয়।
পুতিন তার সংক্ষিপ্ত ভাষণের বেশিরভাগ অংশ উৎসর্গ করেন ইউক্রেনে থাকা ‘যোদ্ধা ও কমান্ডারদের’। তিনি তার এক বাসভবনে কথিত ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার কথা উল্লেখ করেননি—যা কিয়েভ অস্বীকার করে বলেছে, এটি মার্কিন নেতৃত্বাধীন শান্তি প্রক্রিয়াকে বিপথে নিতে করা একটি দাবি।
ইউরোপের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে ভয়াবহ এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার হয়েছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে পুতিন ধারাবাহিকভাবে রুশদের বলে আসছেন, আলোচনায় অগ্রগতি না হলে তিনি যেসব ইউক্রেনীয় অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ ঘোষণা করেছেন—সেগুলোর বাকি অংশও বলপ্রয়োগে দখল করতে চায় সেনাবাহিনী।
‘নায়ক’ আখ্যা দিয়ে সৈন্যদের উদ্দেশে পুতিন বলেন, ‘আমরা তোমাদের ওপর বিশ্বাস রাখি—আর আমাদের বিজয়ের ওপরও।’
রাশিয়ার সবচেয়ে পূর্বাঞ্চলীয় কামচাটকা উপদ্বীপে প্রথম সম্প্রচারিত হয় পুতিনের ঐতিহ্যবাহী ভাষণটি।
৩১ ডিসেম্বর পুতিনের ক্ষমতায় আসার ২৬ বছর পূর্ণ হলো।
ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এখন রুশ নিয়ন্ত্রণে। ছোট প্রতিবেশী দেশটিতে প্রায় প্রতিদিন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে মস্কো—যাতে হাজারো বেসামরিক ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত।
নিয়মিতভাবে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোসহ বেসামরিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে রাশিয়া—ফলে হিমশীতল আবহাওয়ায় বহুদিন ধরে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকতে হয়েছে মানুষকে।
কিয়েভের বাইরে ভিশহোরোদ শহরের বাসিন্দারা—যারা রুশ বোমাবর্ষণে কয়েক দিন ধরে বিদ্যুৎহীন ছিলেন—এএফপিকে বলেছেন, এসব হামলা তাদের জীবন ‘নরকযন্ত্রণায়’ পরিণত করেছে।
দৈনিক পুনরুত্থান /
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
আপনার মতামত লিখুন: