• ঢাকা
  • শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১

Advertise your products here

  1. সারাদেশ

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১০ ইউপি সদস্যের নৌ বাহিনী ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০:৫৭ পিএম
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১০ ইউপি সদস্যের নৌ বাহিনী ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ

বরগুনা সদর থানার ৯ নং এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম নাসিরের মাধ্যমে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা, চাঁদাবাজি ও প্রাণ নাশের হুমকি থেকে রক্ষা পেতে ওই ইউনিয়নের নয়জন ইউপি সদস্য গত বুধবার নৌবাহিনী বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা সদর থানার ৯ নং এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতিক নৌকা নিয়ে প্রভাব খাটিয়ে অ্যাড. নাজমুল ইসলাম নাসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। উক্ত নির্বাচনে প্রতিপক্ষ প্রার্থী এম এ বারী বাদলের এর সমর্থন করায় মাইঠা গ্রামের জামাল মল্লিক নামের এক জনের বাড়ি চেয়ারম্যান নাসিরের নেতৃত্বে হামলা ভাংচুর ও তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল অগ্নি সংযোগ করেন।

এ ঘটনায় গত ২০ আগস্ট জামল মল্লিক বাদি হয়ে বরগুনা থানায় মামলা করেন। যার মামলা নং জিআর ২২০/২০২৪ ওই মামলায় ইউপি সদস্যদেরকে সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য মানেন। এর প্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান নাসিরের আত্মীয় মোসা. মুন্নী বেগম বাদি হয়ে গত ৫ আগস্ট ঘটনা দেখিয়ে ইউপি সদস্যেদের হয়নি করার জন্য মামলা করা হয়। উক্ত ঘটনার সাথে তিন ইউপি সদস্য সম্পৃক্ত ছিল না। 

এছাড়াও, বরগুনা সদর থানার ৯ নং এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম নাসিরের বিরুদ্ধে ১০ জন ইউপি সদস্য গত ১২ সেপ্টেম্বর বরগুনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখতে অভিযোগ করেন। উপজেজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগে পরিষদের ওই ১০ সদস্য উল্লেখ করেন, ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম নাসির শপথ গ্রহণের পর থেকেই সকল প্রকার বরাদ্দকৃত উন্নয়নমূলক কাজের সিদ্ধান্ত  তিনি একাই গ্রহণ করেন। ইউনিয়ন পরিষদে উন্নয়ন মূলক বরাদ্দকৃত টাকা ইউপি সদস্যদের নামে সিপিসি করে  ভুয়া প্রকল্পের নামে টাকা আত্মসাৎ করে যা ইউপি সদস্যরা জানেন না।

ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম পুলিশ নিয়োগে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করে চাকুরী দেন যার ভিডিও ইউপি সদস্যদের কাছে আছে। ইউনিয়ন পরিষদে মোট খানা(হোল্ডিং প্লেট)  ৮৫০০ যার বিপরীতে  প্রতি পিচের  জন্য এনজিওকে পঁচাত্তর টাকা করে প্রদান করে এবং খানা প্রধানের কাছ থেকে ১৫০ টাকা করে গ্রহন করে উক্ত খানা থেকে ৬,৩৭,৫০০ টাকা আত্মসাৎ করে।

শপথের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১% এর বরাদ্দকৃত সকল টাকা সে আত্মসাৎ করে। শপথের পর থেকে রিওপা প্রকল্পে রাস্তার কাজে মহিলাদের কাছ থেকে ২৫০০০ থেকে ৩০০০০ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত ভি জি এফ, ডিজিডি সহ সকল প্রকার ত্রাণ সামগ্রী সমানভাবে বন্টন করে না, অর্ধেকের বেশি সে একাই তার নিকটতম লোকদের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ করে বিতরণ করে। বরাদ্দকৃত অসহায় জেলেদের পূর্ণবাসনের জন্য গরু, ছাগল এবং জাল সহ বিভিন্ন সামগ্রী তিনি একক সিদ্ধান্তে টাকার বিনিময়ে বিতরণ করেন। 

এ বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম নাসিরে সাথে একাধিকবার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামীম মিঞার সাথে যোগেযোগ করা হলে তিনি বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা গ্রহন  করা হবে।

দৈনিক পুনরুত্থান / নিজস্ব প্রতিবেদক

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন