ত্রাণের ঢেউটিন-টাকা আত্মসাৎ : বিভাগীয় কমিশন ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ ভুক্তভোগীদের

বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বিভিন্ন প্রকৃতির দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত-দুস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে ঢেউটিন বিতরণের জন্য গৃহ নির্মাণের অর্থ বছরের-দুস্থদের নামে বরাদ্দ সরকারি ত্রাণের ডেউটিন ও টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে 'মো: শাহাদাত হোসেন সরকার কার্য সহকারী, যোগদানের তারিখ: ১৫ জুলাই ২০১৮' 'বিশ্বজিৎ রায়'কার্য সহকারী যোগদানের তারিখ: ২৫ মার্চ ২০২১' মো: হাসান অফিস সহায়ক, যোগদানের তারিখ: ২৮ এপ্রিল ২০১৯ এদের বিরুদ্ধে।


বরিশাল বিভাগীয় কমিশন বরিশাল ও জেলা প্রশাসকের নিকট ঝালকাঠি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন আকলিমা বেগম সহ অনেকে "ভুক্তভোগীরা বলছেন, দুস্থদের নামে ডেউটিন ও টাকা বরাদ্দের মাস্টার রোলে স্বাক্ষর নেয়া হলেও তাদের কাউকে ত্রাণের ঢেউটিন দেয়া হয়নি"। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সদরে ১নং ওয়ার্ডের উওর আউরা গ্রামে দুস্থদের জন্য ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তরের কাঁঠালিয়া থেকে ১বান্ডিল ডেউটিন এবং ৩ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
আমেজ আলী হাওলাদারের মেয়ে আকলিমা ৫৮ নং নম্বর, তিনি বলেন ‘ সন্তান নিয়ে ঝুপড়ি করে কষ্টে বাস করি। রোজগার কম হওয়ায় মাথা গোঁজার ঘরটি বড় করতে পারিনি। ত্রাণ ও দূর্যোগ অধিদপ্তর থেকে আকলিমার নামে ১ বান্ডিল ডেউটিন ও ৩ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। মহিলা অধিদফতর থেকে সেলাই মেশিন দেওয়া হয় । অভিযোগ করেন, টিন ও টাকা গ্রহণের কিছুক্ষণ পরেই মো: শাহাদাত হোসেন সরকার "বিশ্বজিৎ রায়, মো: হাসান, তার কাছ থেকে টিন এবং টাকা ফেরত নিয়ে নেন।
আরও পড়ুন>> ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী 'কারাম উৎসব' মাতলেন শ্রীমঙ্গল চা-শ্রমিকরা
পরে তাকে মাত্র এক হাজার টাকা নিতে বলেন নজরুল ইসলামের স্ত্রী ৫৫নং নম্বর, "মাজেদা জানান, তাদের নামে ১ বান্ডিল ডেউটিন ও ৩ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও সেটি তারা পাননি। অভিযোগ ঐ এছাহাক হাওলাদারের মেয়ে ১৮ নং পিয়ারা বলেন, ‘সরকারি বরাদ্দের ডেউটিন ও টাকা আমাকে দেয়া হলেও সেটি পাইনি। সব টিন বিভিন্ন জায়গায় রেখে দেয়া হয়েছে।


২০নং নম্বর আঃ কাদেরের মেয়ে হালিমা বেগম বড় কাঁঠালিয়া অভিযোগ, অন্যদের টিন আত্মসাত করছেন, "এ বিষয়ে মো: শাহাদাত হোসেন সরকার 'বিশ্বজিৎ রায়, মো: হাসান বলেন, আমারা অফিস থেকে ৮২ জনের নামে বরাদ্দের টিন হাতে তুলে দিয়েছি। বিষয়টি ইউএনও এবং এমপি" উপজেলা চেয়ারম্যান জানে। স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্রামে দুস্থদের নামে বরাদ্দের ডেউটিন ও টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন, তারা ডেউটিন ও টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিক্রি করে দেয় অভিযোগ করেন আকলিমা বেগম"
সরে জমিনে বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি গিয়ে ত্রাণের টিনের দেখা যায় না। ত্রাণের টিন এলো জানতে চাইলে বলেন তারা টিন কিছু দিলেও টাকা দেয় না,। দুস্থদের ডেউটিন আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাঁঠালিয়া উপজেলা তারা বলেন' মো: শাহাদাত হোসেন সরকার,কার্য সহকারী, বিশ্বজিৎ রায়, কার্য সহকারী, মো: হাসান, অফিস সহায়ক প্রতিদিন খবরকে বলেন, "আমি দুস্থদের ডেউটিন আত্মসাৎ করিনি। এসব অভিযোগ মিথ্যা"।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এমাদুল হক মনিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন-আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। কাঁঠালিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা বলেন, "আমাদের এখান থেকে দুস্থদের হাতে ডেউটিন ও টাকা তুলে দেয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে যদি কেউ ঢেউটিন ও টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকে, তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে" কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দ্বিতীয় পর্ব পাওয়া পর্যন্ত চোখ রাখুন দৈনিক পুনরুত্থানে...


পুনরুত্থান/সালেম/সাকিব/এসআর
দৈনিক পুনরুত্থান / নিজস্ব প্রতিবেদক
- বিষয়:
- ত্রাণ
- আত্মসাৎ
- বিভাগীয় কমিশন
- জেলা প্রশাসক
- অভিযোগ
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আপনার মতামত লিখুন: