লালমনিরহাটের তিস্তায় কালীমন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর ও লুটপাট

লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তা গাদলের ব্রিজ সংলগ্ন রতিপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় রাতের আঁধারে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী শ্মশান কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করে এবং মুল্যবান জিনিসপত্র লুট করেছে বলে জানা গেছে।


আজ সকালে ( ১২ জুলাই) মন্দিরের পুজারী মহাদেব চন্দ্র বর্ম্মণ মন্দিরে পূজা করতে এসে প্রথম এই ঘটনা দেখেন এবং তাৎক্ষণিক মন্দিরের সভাপতি প্রমোদ চন্দ্র রায় ভবেন ও সেক্রেটারি দীলিপ কুমার দাসকে অবহিত করেন।
খবরটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি অবগত হয়ে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামিলীগ এর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা স্বপন, লালমনিরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন, গোকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ সরকার টোটন মন্দির এলাকায় ছুটে গিয়ে খোজঁখবর নেন।
এ বিষয়ে গোলাম মোস্তফা স্বপন বলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সবসময়েই বজায় রাখার চেষ্টা করি। সাম্প্রদায়িক উগ্রতার বিশবাষ্প নাকি মাদক সেবীর কার্যকলাপ যেটাই হোক না কেন সেটা শক্ত পদক্ষেপে দমন করা হবে। আমি সবসময় গোকুন্ডা ইউনিয়নবাসীর পাশেই আছি।


কামরুজ্জামান সুজন তার বক্তব্যে জেলা প্রশাসনের সাথে বসে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুরাহা টানবেন বলে অবহিত করেন। গোকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ সরকার টোটন বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক, ইতোমধ্যে পুলিশ সুপার মহোদয় ঘটনাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের বিষয়টিতে আমি খুবই মর্মাহত।
আগামীতে প্রতিমা তৈরিতে নতুনত্ব নিয়ে আসতে (পাথরের/সিমেন্টের) আমি ব্যাক্তিগতভাবে চল্লিশ হাজার (৪০,০০০) টাকা দিয়ে সাহায্য করবো বলে আশ্বাস দেন। প্রশাসনিক তৎপরতার কথা জিজ্ঞেস করলে মন্দির সভাপতি প্রমোদ চন্দ্র রায় ভবেন বলেন, মিজান দারোগা প্রায় দিনেই এসে খোজ খবর নিতেন। কায় জানে হঠাৎ এমন হইবে?
খবর পেয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ঘটনাটি একটি চুরির ঘটনা প্রাথমিকভাবে তাই মনে হচ্ছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। মামলা হলে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
দৈনিক পুনরুত্থান / স্টাফ রিপোর্টার
- বিষয়:
- লালমনিরহাট
- তিস্তা
- মন্দির
- ভাংচুর
- লুটপাট
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আপনার মতামত লিখুন: