• ঢাকা
  • শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

Advertise your products here

  1. সারাদেশ

শেরপুরে লেপ-তোষকের দোকানে ভিড়, বেড়েছে উপকরণ ও কারিগরদের মজুরি


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:২৮ পিএম
শেরপুরে লেপ-তোষকের দোকানে ভিড়, বেড়েছে উপকরণ ও কারিগরদের মজুরি
ফাইল ছবি

সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ি জেলা শেরপুরে শীতের শুরুতেই বেশ শীত অনুভূত হতে শুরু করেছে। অনেকেই লেপ-তোষক বানানো শুরু করেছেন। কিন্তু লেপ-তোষকের উপকরণের দাম বাড়তি এবং বেড়েছে কারিগরদের মজুরি।

ফলে গত বছরের তুলনায় এবছর বাড়তি দাম গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদের। খবর নিয়ে দেখা গেছে, বিক্রেতারা দোকানে লেপ-তোষকের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। ধুনকররাও লেপ-তোষক বানাতে ব্যস্ত।

কারিগরা জানান, ৫-৭ ফিট সাইজের জাজিম তৈরিতে মজুরি নিচ্ছেন ৩০০-৩৫০ টাকা, ৬-৭ ফিট সাইজের জাজিমে ৪০০-৪৫০ টাকা, ৪-৫ হাত সাইজের লেপ বানানোর মজুরি ২৫০ টাকা, ৫ হাত বাই ৫ হাত সাইজের ৩৫০ টাকা, ৬ ফিট বাই ৭ ফিট সাইজের তোষক ৩০০ টাকা এবং ৫ ফিট বাই ৭ ফিট সাইজের তোষক ৩০০ টাকা।

যা গত বছরের তুলনায় প্রকারভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেশি। লেপ-তোষকের দোকান মালিকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে দৈনিক ৭-৮টা লেপ তৈরি হচ্ছে। অনেকে আবার পুরোনো লেপ-তোষক ঠিকঠাক করে নিচ্ছেন। শীত যত বাড়বে ব্যস্ততাও তত বাড়বে।

এখন ২-৩ জন কারিগর কাজ করছেন। ভরা মৌসুমে কারিগরদের সংখ্যাও বাড়বে। বছরের ব্যবধানে মজুরি বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেশি। আগের মতো ব্যবসাও নেই। এখন অনেকে রেডিমেডের ওপর নির্ভর করেন। বছরের এসময়টাই ধুনকরদের আয়ের সময়। একজন কারিগরের সারাদিনের আয় দিয়ে যদি সংসারের খরচই না জোটে তবে তারা এই পেশাই ছেড়ে দেবেন।

এছাড়া লেপ-তোষক বানানোর যে উপকরণ তার দামও প্রতি বছর বাড়ছে। এসব কারণে এবার মজুরি কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। তবে মৌসুমি কারিগরদের কাছে কিছুটা কম মজুরিতে মিলছে লেপ-তোষক। আরেক কারিগর বলেন, শহরের বিভিন্ন দোকান থেকে তাদের কাছে অর্ডার আসে।

শীতের এই সময়টা তাদের ব্যস্ততা বাড়ে। তবে শীত এখনো পুরোপুরি শুরু না হওয়ায় তেমন চাপ নেই। প্রতিদিন ৪-৫টা করে লেপের অর্ডার পাচ্ছেন। ভরা শীতে ১৫-২০টা পর্যন্ত লেপ বানাতে হয়। তার পর ও অন্য জেলার চেয়ে শেরপুর জেলাও উপজেলা শহরগুলোয় ধুনকরদের তুলনায় এই এলাকায় মজুরি কিছুটা কম।

এ সময়টা লেপ-তোষক বানানোর আগের মতো হাঁকডাক নেই। অনেকেই গ্রামে,পাড়া-মহল্লায়ও লেপ-তোষক তৈরি করছেন। লেপ-তোষক কারখানার মালিক জাহাঙ্গির আলম প্রতিনিধি কে বলেন, লেপ বানানোর ভালো মানের লাল শালুর গজ খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা ও মাঝারি মানেরটা ৪৫-৫০ টাকা।

যা গত বছর ৫৫ ও ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তোষক বানানোর কাপড়েও প্রতি গজে দাম বেড়েছে ১-২ টাকা। জাজিম বানানোর কাপড়ের দাম বেড়ে ৯০-১০০ টাকা থেকে হয়েছে ১২০-১৩০ টাকা। এখন আগের মতো এই ব্যবসায় লাভ নেই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গার্মেন্টর ঝুট বিক্রি হচ্ছে ২৮-৩০ টাকা। গত বছর ছিল ২০-২৫ টাকা।

ভালো মানের কালো ব্লেজার তুলা ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা। লেপের তুলা ৭৫-৮০ টাকা থেকে বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা। ফলে দাম কিছুটা বেড়েছে এবছর। 

দৈনিক পুনরুত্থান / মিজানুর রহমান,  ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন