• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

দুর্যোগ প্রশমনে, গৃহীত উদ্যোগের যথাযথ প্রসারণ জরুরী


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:২৩ পিএম
দুর্যোগ প্রশমনে, গৃহীত উদ্যোগের যথাযথ প্রসারণ জরুরী

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঋতু পরিবর্তনের আর কোনো আগামাথা নেই। ফলে আবহাওয়ার গতি-প্রকৃতি বোঝা দিনকে দিন মুশকিল হয়ে পড়ছে। প্রযুক্তির দুনিয়ায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানার পদ্ধতি উন্নত হলেও অনেক সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে। মাঠের কৃষক বা চাষিদের জন্যও আবহাওয়ার পূর্বাপর জানানোর ভাষা এখনও জটিল ও নাগালের বাইরে। তিন দশক আগের ফরমেটের পূর্বাভাস প্রণালিতে পরিবর্তন আনার দাবি বহুদিন ধরে জানিয়ে আসছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ।

দুর্যোগকালীন আবহাওয়ায় প্রদত্ত সংকেতের সঙ্গে দুর্যোগের সঠিক চিত্র মেলে না বলেই সাধারণ মানুষের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার অনীহা দেখা যায়। কৃষক দ্বিধায় থাকেন—ফসল ঘরে তুলবেন কিনা। সাগরের জেলেরা অনিশ্চয়তা জেনেও নির্ভার হয়ে গভীর সমুদ্রে চলে যান মাছ ধরতে। এই অনিশ্চয়তার মাশুল দিতে হয়েছে বহুবার। ২০০৯ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ‘আইলা’র ক্ষয়ক্ষতি সঠিকভাবে পূর্বানুমান করা যায়নি। ফলে উপকূলের হাজারো জীবন, ঘরবাড়ি, চাষের জমি ও জীবিকা ধ্বংস হয়েছে।

পরিসংখ্যান বলছে, শুধু আইলাতেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা, বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ। এরপরও দুর্যোগ-পূর্ব সতর্কবার্তার ভাষা, গতি ও মাধ্যম এখনো সাধারণ মানুষের নাগালে পৌঁছায়নি।

 যত সময় গড়াচ্ছে, গ্রিনল্যান্ডের কোটি কোটি টন  বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা বাড়ছে।  তলিয়ে যাবার  তালিকায় বাংলাদেশ যত  উপরের দিকে অবস্থান করছে, তত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কাঁচঘেরা রুমে সেমিনার সিম্পোজিয়াম বাড়ছে।

কিন্তু যত সময় গড়াচ্ছে সভা-সেমিনার বাড়ছে—শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কাঁচঘেরা ঘরে। সেখানে মাঠের কৃষক, সাগরের জেলে বা সুন্দরবনের বনজীবীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।

দিবস বা  দুর্যোগকালীন তোড়জোড়ে গৎবাঁধা আয়োজন থেকে বেরিয়ে এসে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, পদক্ষেপ গ্রহণ না করতে পারলে  ১৯৮৯ সাল থেকে জাতিসংঘের ঘোষণায় পালিত হওয়া দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালন অনেকটাই উপকূলের বরাদ্দের টাকায় পার্ক ও ফুটওভার ব্রীজ তৈরী  করার মতো বিষ্ময়কর বা অর্থহীন মনে হবে।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন