• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

বিমানবন্দরের ‘সাইবার হামলা ঠেকাতে’ সক্ষম বেবিচক


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৬:২৮ পিএম
বিমানবন্দরের ‘সাইবার হামলা ঠেকাতে’ সক্ষম বেবিচক

দেশের বিমানবন্দর ও বিমান পরিবহন ব্যবস্থায় যেকোনো সম্ভাব্য সাইবার হামলা ঠেকাতে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) প্রযুক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকার কুর্মিটোলায় বেবিচক সদর দপ্তরে সংস্থাটির তথ্য-প্রযুক্তি (আইটি) বিভাগের উদ্যোগে ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস-অক্টোবর ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।

সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এবং গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর সক্ষমতা জোরদারে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রচারণার অংশ হিসেবে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

বেবিচক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য সুরক্ষা, সাইবার ঝুঁকি মোকাবেলা এবং বিমান চলাচলে ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, সাইবার নিরাপত্তা এখন আর বিকল্প নয়, এটি একটি মৌলিক প্রয়োজন। বিমান চলাচল সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যক্তির দায়িত্ব হচ্ছে সিস্টেম ও তথ্য সুরক্ষিত রাখা। দৈনন্দিন কাজে সামান্য অবহেলাও বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তবে সচেতনতা ও নিরাপত্তা নীতিমালা মেনে চলার মাধ্যমে আমরা একটি নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য সাইবার পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারি।

বেবিচক চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, বর্তমানে বিমান চলাচলের প্রায় সব কার্যক্রম—যেমন এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, যাত্রী তথ্য সুরক্ষা ও অবকাঠামোগত যোগাযোগ-ডিজিটাল সিস্টেমের ওপর নির্ভরশীল।

তিনি বলেন, একটিমাত্র সাইবার হামলা বা নিরাপত্তা ভঙ্গও ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে, যা শুধু যাত্রীদের আস্থা নষ্ট করবে না, বরং বৈশ্বিক বিমান চলাচল নেটওয়ার্ককেও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, বিমান চলাচল একটি আন্তঃসংযুক্ত বৈশ্বিক খাত। একটি বিমানবন্দরে হামলা হলে এর আন্তর্জাতিক প্রভাব পড়তে পারে।

যদি একাধিক বিমানবন্দরে একই সময়ে সাইবার হামলা হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বিঘ্নিত হতে পারে, ফ্লাইট সময়সূচি বিলম্বিত হতে পারে, এমনকি আকাশপথ ব্যবস্থাপনাও বিকল হতে পারে।

বেবিচক চেয়ারম্যান জোর দিয়ে বলেন, সাইবার নিরাপত্তাকে কেবল আইটি বিশেষজ্ঞদের দায়িত্ব হিসেবে না দেখে এটি সম্মিলিত দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

তিনি কর্মকর্তাদের নিরাপদ পাসওয়ার্ড ব্যবহার, সন্দেহজনক লিংক পরিহার এবং নিয়মিত সিস্টেম আপডেট রাখার আহ্বান জানান। তার মতে, সচেতনতা হচ্ছে সাইবার নিরাপত্তার প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর।

তিনি বলেন, কিভাবে সাইবার হামলা ঘটে আমরা যদি তা বুঝতে পারি, তাহলে প্রতিরোধ করাও অনেক সহজ হবে।

দ্রুত রিপোর্ট করা ও ত্বরিত প্রতিক্রিয়া জানানো ক্ষতি কমানোর জন্য অত্যন্ত জরুরি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেবিচক সদস্য (অপারেশনস অ্যান্ড প্ল্যানিং) এয়ার কমডোর আবু সাঈদ মেহ্বুব খান। এতে ‘সেফ অনলাইন লিভিং’ বিষয়ক কারিগরি প্রক্রিয়া উপস্থাপনা করেন বেবিচকের আইটি বিভাগের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট খন্দকার আজিজুর রহমান।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন