• ঢাকা
  • রবিবার, ১০ আগষ্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

সরকার ন্যূনতম সংস্কারের প্রত্যাশাও পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে: মামুনুল হক


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ০৮ আগষ্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:৪৬ পিএম
সরকার ন্যূনতম সংস্কারের প্রত্যাশাও পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে: মামুনুল হক

সরকার ন্যূনতম সংস্কারের প্রত্যাশাও পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক। একই সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক বাস্তবতাকে জুলাই ঘোষণাপত্রে সঠিকভাবে তুলে ধরার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর রমনায় অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় শ্রমিক কনভেনশনে এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মামুনুল হক বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থায় এমন পরিবর্তন হওয়া দরকার ছিল যাতে দুর্বৃত্তায়ন, পেশিশক্তি, কালোটাকা ও সন্ত্রাসের আধিপত্য বন্ধ হয়।

কিন্তু ৫ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার ভাষনে সেই অভিপ্রায় দেখা যায়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাঙ্ক্ষিত মান তো দূরের কথা, ন্যূনতম সংস্কারের প্রত্যাশাও পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতায় বিএনপিরও বড় ভূমিকা রয়েছে।

সংসদে উচ্চকক্ষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ঘোষণা দিয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত নিলেও, দেশের বর্তমান সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলের দ্বিমতের কারণে এটি কার্যকর হবে না। পিআর পদ্ধতি না থাকলে উচ্চকক্ষ কেবল ‘বেকার পুনর্বাসনের উচ্চকক্ষ’ হবে, যা আমরা চাই না।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনারা যদি প্রকৃত অর্থবহ উচ্চকক্ষ না গড়ে বেকার পুনর্বাসন কেন্দ্র হিসেবে কেবল এমপি বাড়িয়ে রাষ্ট্রের উপর বোঝা চাপিয়ে দেন, তবে তা মেহনতি মানুষের সঙ্গে দুর্বিসন্ধি হবে।

বিচার প্রসঙ্গে এই ইসলামিক স্কলার বলেন, খুনীদের বিচার নিশ্চিত করতে কিছু মামলা হয়েছে, কিন্তু একটি মামলাতেও রায় হয়নি।

উল্টো ফ্যাসিবাদের আমলে নির্যাতিত মানুষ এখনো মামলার ঘানি টানছে। শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ডের মামলা আজও আমাদের নামে রয়েছে। আইনের নামে বেআইনি শাসন আমরা মেনে নেব না।

জুলাই ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে মামুনুল হক বলেন, ঘোষণাপত্রে বঙ্গভঙ্গ, ১৯৪৭ এর স্বাধীনতা, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের কথা কোথাও উল্লেখ নেই। অথচ এগুলো বাংলাদেশের ইতিহাসের ভিত্তি।

শাপলা চত্বর ছাড়া চব্বিশের বিপ্লবের পাটাতন তৈরি হতো না। এছাড়া ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ডকেও ঘোষণায় স্থান দিতে হবে।

খেলাফত মজলিস শ্রমিক মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মুফতি শরাফত হোসাইনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, নায়েবে আমীর মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন প্রমুখ।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন