• ঢাকা
  • শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১

Advertise your products here

  1. আর্ন্তজাতিক

দিল্লি পৌরসভার মেয়র নির্বাচন ভেস্তে গেল আপ-বিজেপির তাণ্ডবে


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: শনিবার, ০৭ জানুয়ারী, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৪৪ এএম
দিল্লি-পৌরসভার-মেয়র-নির্বাচন-ভেস্তে-গেল-আপ-বিজেপির-তাণ্ডবে
ফাইল ফুটেজ

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এবং আম আদমি পার্টি (আপ) কাউন্সিলরদের তাণ্ডবে দিল্লি পৌরসভার মেয়র নির্বাচন ভেস্তে গেল। এ নির্বাচন এখন কবে অনুষ্ঠিত হবে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সে বিষয়ে।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি ২০২৩) ভারতের দিল্লি পৌরসভার মেয়র নির্বাচনে এ ঘটনাটি ঘটে গেরুয়া শিবিরে। যা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতেও। জানা গেছে দিল্লির সংবাদমাধ্যমগুলো থেকে যে, ভোটাভুটির আগেই হাতাহাতি-মারপিটে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি এবং নবনিযুক্ত আপ কাউন্সিলাররা। নয়াদিল্লির ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় সিভিক সেন্টার (এমসিডি সিভিক সেন্টার) তার জেরেই কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এছাড়াও মাইক্রোফোন ভেঙে ফেলা এবং প্রিসাইডিং অফিসারের টেবিলে উঠে নাচসহ গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে ধারালো অস্ত্র নিয়ে একে অপরকে আক্রমণের মতো। একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে বিজেপি এবং আপ এ ঘটনার পর থেকেই। বিষয়টি নিয়ে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনাকে।

আরও পড়ুন>> অ্যানাস্থেশিয়া করে অপারেশনের সময় শ্লীলতাহানির অভিযোগ!

দিল্লি পৌরসভায় কেজরিওয়ালের দল বিজেপির ১৫ বছরের দাপট ভেঙেছে। দলের শালিমার বাগের কাউন্সিলার রেখা গুপ্তাকে বিজেপির প্রার্থী করা হয়। এদিকে ইস্ট প্যাটেল নগর থেকে দলের প্রথমবারের কাউন্সিলার শেলি ওবেরয়কে আপের পক্ষ থেকে মেয়র পদে প্রার্থী করা হয়েছিল। কথা ছিল, প্রথমে দুই দলের নবনির্বাচিত কাউন্সিলাররা শপথ নেবেন এদিন এমসিডি সিভিক সেন্টারে। কিন্তু তার আগেই গণ্ডগোল শুরু হয়ে যায়। নিয়ম অনুযায়ী, ১০ জনকে পৌরসভার ‘অ্যালডারম্যান’ হিসেবে মনোনীত করতে পারেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর। পৌরসভার অংশ তারা, কিন্তু নেই ভোটাধিকার। মাসখানেক ধরে সংঘাতের আবহ তৈরি হচ্ছিল সেই মনোনীত সদস্যদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের বিষয়টিকে কেন্দ্র করে।বিবাদে জড়িয়েছিল আপ লেফটেন্যান্ট গভর্নরের।

এদিকে, ঘটনার জেরে বিজেপি সংবাদ সম্মেলন করে। দলের এমপি মনোজ তিওয়ারি, প্রবেশ ভার্মারা ‘আহত’, মীনাক্ষি লেখি, হাজির করিয়ে কাউন্সিলারদের দাবি করেন, ‘ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করেছে আপের পৌর প্রতিনিধিরা সিভিক সেন্টারের মধ্যেই।’ অন্যদিকে, বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজ নিজের ব্যান্ডেজ বাঁধা হাত দেখিয়ে আপ বলেন, ‘ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে দিল্লি পৌরসভায় আপ। নিয়ম মতো স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানের, মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র পদ আমাদেরই পাওয়ার কথা। সেটা মানতে পারছে না বিজেপি। তাই চালিয়েছে হামলা।’ এ অবস্থায় স্থির করবেন দিল্লির উপ-রাজ্যপালই, নির্বাচন ঠিক কবে হবে পৌরসভার পরবর্তী মেয়র।

 

পুনরুত্থান/সালেম/সাকিব/এসআর

দৈনিক পুনরুত্থান / স্টাফ রিপোর্টার

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন