• ঢাকা
  • বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

মৌলভীবাজারে ১০ম গ্রেডের দাবিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের অর্ধদিবস কর্ম-বিরতি


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:৩২ পিএম
মৌলভীবাজারে ১০ম গ্রেডের দাবিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের অর্ধদিবস কর্ম-বিরতি

সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় দেশের সকল স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টদের ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতের দাবীতে মৌলভীবাজারে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টরা অর্ধ দিবস কর্ম-বিরতি পালন করেছেন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন হাসপাতালে সেবা নিতে আসা শতশত রোগীরা। 

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সামনে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মেডিকেল টেকনোলিজস্টদের এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

দুই ঘন্টার ওই কর্মবিরতি চলাকালে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে দুই ঘন্টাব্যাপী বন্ধ থাকে সেবা কার্যক্রম। কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীরা স্বাস্থ্য খাতের বৈষম্য, মানিনা মানব না , তুমি কে, আমি কে, টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্ট, আর নয় কালক্ষেপণ, এবার চাই প্রজ্ঞাপন, সকল ডিপ্লোমা ১০ম গ্রেড, আমরা কেন ১১ গ্রেড সহ নানা প্রতিবাদী শ্লোগান দিতে দেখা যায়। 

আন্দোলনরত মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা জানান, সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা স্বাস্থ্য সেবায় রোগ নির্ণয় ও ঔষধ ব্যবস্থাপনা সহ গুরুত্বপূর্ণ সেবাদান কার্যক্রমে যুক্ত। চিকিৎসক-নার্সদের পাশাপাশি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছেন। রোগী সেবার ক্ষেত্রেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এমআরআই, এক্স-রে, সিটিস্ক্যান, নমুনা সংগ্রহ,প্যাথলজিকাল পরীক্ষা, রেডিওথেরাপী, ফিজিওথেরাপী সহ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও এ পেশায় যুক্তরা নানা সমস্যায় জর্জরিত। বছরের পর বছর এ পেশায় যুক্ত থাকা মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা অবহেলিত, ৩১ বছরেও নেয়া হয়নি সংস্কারের কোন উদ্যোগও।

তারা জানান, ডিপ্লোমা কোর্সধারীদের মধ্যে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, ডিপ্লোমা নার্স ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদরা ১১ তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেড পদমর্যাদায় উন্নীত হলেও সমশিক্ষার যোগ্যতা থাকা স্বত্বেও ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের নায্য অধিকার ১০ম গ্রেড লাল ফিতার দৌরাত্মে আজও বাস্তবায়িত হয়নি। অথচ ১৯৮৯ সাল পরবর্তী সময় থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে অব্যাহতভাবে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবী জানিয়ে আসছেন তারা, কিন্তু ৩১ বছরেও দৃশ্যমান কোন প্রদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

এসময় তারা সারাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ১১ তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানান। দাবি-দাওয়া না মানলে ৪ঠা ডিসেম্বর মৌলভীবাজার সহ সারাদেশে দিনব্যাপী শাটডাউন কর্মসূচি পালনের কর্মসূচীর ঘোষণা দেয়া হয়। ওইদিন তারা সকরাদিন কর্মবিরতি পালন করবেন।

একই সময়ে শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া, বড়লেখা, জুড়ী সহ জেলার সবগুলো উপজেলায়ও কেন্দ্র ঘোষিত ওই কর্মসূচি পালিত হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের টেকনোলজিস্ট ও ফার্সাসিস্টরা অদ্যবধি পর্যন্ত ১০ম গ্রেডে উত্তীর্ণ হননি। আমরা সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছি অবিলম্বে আমাদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য। এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন, নন্দ কিশোর সিংহ, ধীরেন্দ্র চন্দ্র বৈষ্ণব, ফয়জুন্নেছা খানম ও আবুল হোসেন চৌধুরীসহ অন্যরা।

মৌলভীবাজার জেলায় সিভিন সার্জন কার্যালয়, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল, বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ স্বাস্থ্য বিভাগে অন্তত শতাধিক মেডিকেল টেকনোলজিস্ট কর্মরত রয়েছেন বলে জানা গেছে।

আন্দোলন চলাকালীন সময়ে শতশত রোগীরা ফার্মেসীর সামনে অপেক্ষা করে হই হুল্লোড় শুরু করেন। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় সেবা প্রার্থীরা  চরম দূর্ভোগে পড়েন।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন