• ঢাকা
  • রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

আমতলী চার নারীসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে জখমের মামলায় তিনজন গ্রেপ্তার


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০:৫৬ পিএম
আমতলী চার নারীসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে জখমের মামলায় তিনজন গ্রেপ্তার

বরগুনার আমতলীতে ধান কাটতে বাঁধা দেয়ায় চার নারীসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতদের আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে রিপন হাওলাদারকে প্রধান আসামী করে ২০ জনের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামের মন্নাফ হাওলাদার ও জামাল গাজীর মধ্যে ১৫ একর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত ১১ নভেম্বর ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় উভয় পক্ষ আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করে। এর মধ্যে জামাল গাজীর পক্ষের মামলায় মন্নাফ হাওলাদারসহ ১২ জন বর্তমানে জেল হাজতে আছেন।

এই সুযোগে শুক্রবার বিকেলে জামাল গাজীর ভাই ও হলদিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব আরিফ গাজীর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা বিরোধপূর্ণ জমির ধান কাটতে গেলে মন্নাফ হাওলাদার বাড়ির নারীরা বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আরিফ গাজীর নেতৃত্বে রিপন হাওলাদারসহ একদল লোক কদভানু (৪৫), শেফালী (৪০), নুর নাহার (৩৫), মমতাজ (৭০) ও সাদ্দাম হোসেনকে (৩০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

খবর পেয়ে পুলিশ ৯৯৯-এর মাধ্যমে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। অভিযোগ রয়েছে, আহতদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতাল প্রাঙ্গণে পৌঁছালে আরিফ গাজীর লোকজন চিকিৎসায় বাঁধা দেয় এবং শহীদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করে। গুরুতর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার সকালে পুলিশ জাকারিয়া, সগির ও লিপি বেগম নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।

আহত পক্ষের শহীদুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন যুবদল সদস্য সচিব আরিফ গাজী ও তার লোকজন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, চার নারীসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন