• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

বরগুনায় তথ্য জালিয়াতি করে ভুয়া ঠিকানায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:০২ পিএম
বরগুনায় তথ্য জালিয়াতি করে ভুয়া ঠিকানায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি

বরগুনা জেলার সদর উপজেলার উত্তর মনসাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগে তথ্য জালিয়াতি ও ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উত্তর মনসাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টি ২০০৯ সালে স্থানীয় উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে অন্যান্য আবেদনকারীদের সাথে বর্তমান সহকারী শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন আবেদন করেন। সাবিনা ইয়াসমিন জাল জালিয়াতি করে ভুয়া নাগরিক সনদপত্র তৈরি করে বরগুনা সদর উপজেলার ২ নং গৌরীচন্না ইউনিয়নের দক্ষিণ মনসাতলী গ্রামে স্থায়ী ঠিকানা দেখিয়ে নিয়োগ পত্র নিয়েছেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধি অনুযায়ী একজন অবিবাহিত মহিলা আবেদনকারী তার পিতার স্থায়ী ঠিকানায় এবং বিবাহিত মহিলা আবেদনকারী তার পিতার স্থায়ী ঠিকানায় অথবা স্বামীর স্থায়ী ঠিকানায় আবেদন করতে পারবেন। সাবিনা ইয়াসমিন এর পিতা বা স্বামী কেউই বরগুনা সদর উপজেলার বাসিন্দা নন।

তাই তিনি সদর উপজেলার স্থায়ী ঠিকানায় ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে উত্তর মনসাতলী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেছেন। গত ২১ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে উত্তর মনসাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আত্মীকরণ গেজেট প্রকাশের পরে সাবিনা ইয়াসমিনের জাল জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসে।

তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষা সহ জেলা শিক্ষা অফিসে যে সকল কাগজপত্র জমা দিয়েছেন তাতে তার স্থায়ী ঠিকানা দেখিয়েছেন বেতাগী উপজেলার বকুলতলী গ্রামে। প্রশ্ন উঠছে তার দুইটি ঠিকানার কোনটি সঠিক। কেনই বা তিনি নিয়োগে জ্বাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিলেন। অভিযোগের বিষয়ে সহকারী শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, অফিস আমাকে যে নির্দেশনা দিয়েছে আমি তাই করেছি। আমি যখন বিদ্যালয় যোগদান করি তখন বরগুনা সদর উপজেলার লাকুরতলা গ্রামে ভাড়া থাকতাম সেই ঠিকানায় বিদ্যালয়ে যোগদান করেছি।

আমার স্থায়ী ঠিকানা বেতাগী উপজেলার বকুলতলী গ্রামে। বরগুনাতে আমরা ভাড়া থাকি। উত্তর মনসাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারিয়ম সিদ্দিকা বলেন, সাবিনা ইয়াসমিন এর নিয়োগপত্র যোগদান পত্রে বরগুনা সদর উপজেলার ঠিকানা দেখানো হয়েছে এবং পরবর্তীতে তিনি বেতাগী উপজেলার কাগজপত্র দিয়েছেন।

যদি কোন জাল জালিয়াতি থাকে সে বিষয়ে অফিস ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু জাফর মোঃ ছালেহ বলেন, আমি বিষয়টা জানলাম। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন