• ঢাকা
  • রবিবার, ১০ আগষ্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

রক্ত দিয়ে বাঙালি আদায় করেছিল ভাষার অধিকার : প্রধানমন্ত্রী


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: বুধবার, ২২ ফেরুয়ারী, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২:৪৯ এএম
রক্ত-দিয়ে-বাঙালি-আদায়-করেছিল-ভাষার-অধিকার-প্রধানমন্ত্রী
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মা ডাকার অধিকার বাঙালি জাতি রক্ত দিয়ে পেয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংস্কৃতির ওপর অনেক জাতিকে ধ্বংস করার জন্য আঘাত আনা হয়। অন্য ভাষা তুলে ধরা হয় আমাদের ভাষা পাল্টে দিয়ে। বাঙালি জাতি রক্ত দিয়ে মা ডাকার তখন আজকের এই দিনে অধিকার পেয়েছিল।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহীদ দিবস- ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে তিনি এ কথা বলেন আয়োজিত চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে মাতৃভাষা পদক দেওয়া হয় তিন ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি আমরা ডিজিটাল। কাজের সুবিধার জন্য দেশের মানুষের আমরা করে দিয়েছি ৯টি ভাষার একটি অ্যাপ। যে কেউ যেন ডিজিটাল সিস্টেমে ভাষা শিখতে পারে করে দিয়েছি আমরা সেই ব্যবস্থা।

তিনি বলেন, ভাষা শিখতে পারে শিশুরা তাড়াতাড়ি। দুই-তিনটা ভাষা তারা একসঙ্গে দ্রুত শিখে নেয়। ধারণ করবে তবে কোনটা সেটা আসে পরে। মাতৃভাষায় শিক্ষাটা হলে উপকার অনেক বেশি সবকিছু উপলব্ধি, জানা, বোঝা করার। প্রধানমন্ত্রী ফ্রিল্যান্সিংয়ের যুগ উল্লেখ করে বলেন, ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আমাদের ছেলেমেয়েরা উপার্জন করতে পারছে। আমরা তাদের জন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছি লার্নিং এবং আর্নিংয়ের প্রশিক্ষণের। ইউনিয়নে বসে তারা এখন একেবারে বিদেশে কাজ করে করতে পারছে অর্থ উপার্জন।

আরও পড়ুন>> বাংলাদেশ ১৪ বছরে বদলে গেছে : প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, আজ আমাদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহীদ। মা ডাকার অধিকার বাঙালি জাতি রক্ত দিয়ে পেয়েছিল আজকের এই দিনে। সংস্কৃতির ওপর অনেক জাতিকে ধ্বংস করার জন্য আঘাত আনা হয়। অন্য ভাষা তুলে ধরা হয় আমাদের ভাষা পাল্টে দিয়ে। শেখ হাসিনা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, একটি শিক্ষা সম্মেলন করা হয়েছিল করাচিতে ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসে। উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা করা হবে সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এই খবর আসার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করে।

প্রতিবাদ শুরু হয় তখন এভাবে। আমাদের আন্দোলন ভাষার জন্য, ছিল সংগ্রাম অব্যাহত। প্রধানমন্ত্রী গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, গবেষণায় ফেলোশিপ দিক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট, আমি চাই। প্রয়োজন হয় যদি অর্থ বরাদ্দের, তাও আমরা দিবো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, করতেই হবে গবেষণা। কারণ কোনো বিষয়ে উৎকর্ষ গবেষণা ছাড়া সাধন সম্ভব নয়। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে দেন উচ্চশিক্ষা বিভাগ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিকের সচিব সোলেমান খান। উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে আরও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

 

পুনরুত্থান/সালেম/সাকিব/এসআর

দৈনিক পুনরুত্থান / স্টাফ রিপোর্টার

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন