ঋণের ৩৮ কোটি টাকা পরিশোধ করেনি মাহমুদুর রহমানের প্রতিষ্ঠান আফাকু
৩৮ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষে জারি করা চূড়ান্ত কলব্যাক নোটিশের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও ইসলামী ব্যাংকে কোনো অর্থ জমা দেয়নি বগুড়ার আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড।
গত রোববার ব্যাংক সূত্র জানায়, গত ৩ ডিসেম্বর ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি বগুড়া শাখার ব্যবস্থাপক স্বাক্ষরিত একটি চূড়ান্ত কলব্যাক নোটিশ আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমানের কাছে পাঠানো হয়।
নোটিশে আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ খেলাপি ঋণ পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে নোটিশের সময়সীমা শেষ হওয়ার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকে কোনো অর্থ পরিশোধ করেনি বলে নিশ্চিত করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠানটি আর্থিকভাবে লাভজনক হওয়া সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করছে।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ও পলাতক হিসেবে চিহ্নিত আফাকু কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম নাজমুল কাদির শাহজাহান চৌধুরীর স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ পুনঃতফসিলের চেষ্টা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছে।
পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আফাকুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ১৯ আগস্ট ২০২৪ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রয়েছেন। অথচ ব্যাংকে জমা দেওয়া এক রেজুলেশনে দেখা যায়, তার উপস্থিতিতেই ১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দুদক বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাহফুজ ইকবাল জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে ইসলামী ব্যাংক বড়গোলা শাখার ব্যবস্থাপক সুলতান মাহমুদ বলেন, আইনের বাইরে গিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ নেই। সব দিক পর্যালোচনা করেই পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক পুনরুত্থান /
- বিষয়:
- মাহমুদুর রহমান
- আফাকু
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
আপনার মতামত লিখুন: