• ঢাকা
  • বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

পেকুয়ায় দুই যুগ ধরে লালজানপাড়া সড়কটি ছোট-বড় গর্তে পূর্ণ ভোগান্তি চরমে


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:৪২ পিএম
পেকুয়ায় দুই যুগ ধরে লালজানপাড়া সড়কটি ছোট-বড় গর্তে পূর্ণ ভোগান্তি চরমে

পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের সবুজ বাজার- লালজানপাড়া সড়কটি। রাজাখালী থেকে টইটং ইউনিয়ন পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি বরাবরের মতোই অবহেলিত।

"গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে কোলে করে, দোলনা বা কাপড় পেঁচিয়ে স্টেশনে নিয়ে যেতে হয়। সাইকেল ছাড়া কোনো গাড়ির ছায়াও এদিকে প্রবেশ করতে পারে না। 

বিগত ২৪ বছর যাবৎ লালজানপাড়া সড়কের এমন বেহাল দশা দেখার কেউ নেই" এভাবে নিজেদের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করছিলেন রাজাখালী ইউনিয়নিয়নের লালজানপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন। ২৪ বছর ধরে সংস্কারহীন পড়ে রয়েছে এই লালজান পাড়া সড়ক।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার সংস্কারের আবেদন করা হলেও তা আমলে নেয় নি কেউ। যুগের পর যুগ রাস্তাটি মেরামত না করায় ভোগান্তিতে ৬ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ। 

সোমবার  সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের মূল অংশে পাঁচ শতাধিক গর্ত রয়েছে। ২০-৩০ মিটার পরপর রাস্তার ইটগুলো সরে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে এসব গর্ত। সড়কের কোনো কোনো অংশে জমে আছে হাটু পরিমাণ কাদা। ভেঙ্গে যাওয়া অংশ মেরামত না করায় রাস্তাটি ক্রমশ সরু হয়ে এসেছে। চলাচল করতে পারছে না মোটরসাইকেল, বিদ্যুৎ চালিত অটোরিকশা, ভ্যানও। তাই বাধ্য হয়ে হেটেই চলাচল করতে হয় এলাকাবাসীর।

ইউনিয়নের লালজানপাড়া, টেকঘোনাপাড়া, রব্বতআলীপাড়া, বকশিয়াঘোনাপাড়া, সুন্দরীপাড়া, রায় বাপেরপাড়া, আমিলাপাড়া ও মাঝির পাড়াসহ টইটং ইউনিয়নের প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী এয়ার আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়, ফৈয়জুন্নেছা হাই স্কুল এন্ড কলেজ, বি. ইউ. আই ফাযিল মাদ্রাসা, আজিগরিয়া দাখিল মাদ্রাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইবতেদায়িয়া মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের রাস্তা এই সড়ক। ভাঙ্গা রাস্তায় যাতায়াতের ভোগান্তির কথা জানান শিক্ষার্থীরা। 

লালজানপাড়ার বাসিন্দা আমিনা খাতুন (ছদ্মনাম) ডেলিভারি রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে দৈনিক সমকাল কে বলেন, জুন মাসে আমার জাঁইকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গিয়ে রাস্তায় প্রসব হয়ে যায়। এমন দুর্ভোগ আমরা চাই না, রাস্তাটা সংস্কার চাই। 

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুচ্ছফা (৬৫) বলেন, সর্বপ্রথম দু'হাজার সালের দিকে মন্ত্রী সালাউদ্দিন আনোয়ার চেয়ারম্যানের মাধ্যমে রাস্তাটি নির্মাণ করেছিলেন। তারপরে সৈয়দনুর, বাবুল চেয়ারম্যানসহ নানা জনপ্রতিনিধি আসলেও রাস্তাটিতে কেউ এক দলা মাটিও দেয়নি। আরেক বাসিন্দা আমানুল্লাহ জানান, একুশ মাস আগে সংসদ নির্বাচনের সময় এমপি ইব্রাহীম  রাস্তা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন কিন্তু রাজনৈতিক প্রেক্ষপট পাল্টানোর কারণে ওনিও চলে গেলেন।

পেকুয়া উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী সৌরভ দাশ বলেন, বর্তমানে কোনো প্রকল্প নেই বলে জানিয়েছেন। এবং স্থানীয় প্রতিনিধিদের আবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী কোন প্রকল্পে আওতাভুক্ত করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, "রাস্তাটির বিষয়ে কেউ লিখিতভাবে জানায়নি। তবে রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে তথ্য নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন