• ঢাকা
  • বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

বরগুনার আমতলীতে তুলার মিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:১৩ পিএম
বরগুনার আমতলীতে তুলার মিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

বরগুনার আমতলী উপজেলায় একটি তুলার মিলসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিলটির মেশিনপত্র ও কাঁচামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন মিল মালিক। বারবার এমন ঘটনায় আশপাশের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। লোকালয় থেকে তুলার মিল অপসারণের দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে আমতলী উপজেলার মানিকঝুড়ি এলাকায় অবস্থিত ‘মায়ের দোয়া কটন মিলস’-এ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, আমতলী উপজেলার বৈঠাকাটা গ্রামের বাসিন্দা মো. বশির খাঁন ২০১৮ সালে মানিকঝুড়ি এলাকায় ‘মায়ের দোয়া কটন মিলস’ স্থাপন করেন। মঙ্গলবার রাতে মিলটি বন্ধ থাকলেও হঠাৎ বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

মুহূর্তের মধ্যেই তুলা ও ঝুট থাকায় আগুন দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আমতলী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে মিলের মূল্যবান মেশিন, তুলা ও অন্যান্য মালামাল সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়। এতে প্রায় ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিল মালিক।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার (আমতলী-তালতলী সার্কেল) তারিকুল ইসলাম মাসুদ এবং আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গির হোসেন। প্রত্যক্ষদর্শী গোলাম মোস্তফা বলেন, রাত ৯টার দিকে তুলার মিলে আগুন জ্বলতে দেখে আমরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিই। আগুন এত দ্রুত ছড়ায় যে কিছুই রক্ষা করা যায়নি।

লোকালয়ের ভেতরে এমন মিল থাকায় আমরা সবসময় আতঙ্কে থাকি। গত সাত বছরে কয়েকবার এখানে আগুন লেগেছে। মিলের মেশিন চালক ফাহিমা বেগম বলেন, মিল বন্ধ থাকায় কেউ উপস্থিত ছিল না। আগেও বৈদ্যুতিক মিটার থেকে আগুন লেগেছিল। আমার ধারণা এবারও একই কারণ হতে পারে। মিল মালিক মো. বশির খাঁন বলেন, এই আগুনে আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। অন্তত ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

পুনরায় মিল চালু করার মতো আর কোনো সামর্থ্য নেই। আমতলী ফায়ার সার্ভিসের লিডার মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে আগুনের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। সহকারী পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, মিলে ঝুট ও তুলা থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করলেও কোনো মালামাল রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত মিল মালিক আবেদন করলে সরকারি বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন