• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

আমতলীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিওব্যাগ তৈরির কাজে অনিয়মের অভিযোগ


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:১৭ পিএম
আমতলীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিওব্যাগ তৈরির কাজে অনিয়মের অভিযোগ

বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর সোনাখালী এলাকায় তাফালবাড়িয়া নদীসংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙন রোধে জিওব্যাগ তৈরির কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

ইউপি সদস্য আবু জাফরসহ স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, জিও ব্যাগ তৈরিতে বালুর সঙ্গে নির্ধারিত পরিমাণ সিমেন্ট না দিয়েই কাজ চলছে। অভিযোগ রয়েছে, পটুয়াখালী জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ও মরিচবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঠিকাদার মনিরুজ্জামান টিটু এই কাজের দায়িত্বে আছেন। কিন্তু তিনি নিয়ম অনুযায়ী ছয় ফারা বালুর সঙ্গে এক বস্তা সিমেন্ট মিশ্রণ না করে ব্যাগ প্রস্তুত করছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩০ বছর ধরে তাফালবাড়িয়া নদীর ওই অংশে ভাঙন চলমান। এতে প্রতিবছর অন্তত ১০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০২২ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে সাময়িকভাবে ভাঙন রোধ করলেও ঠিকাদারী অনিয়মের কারণে দুই বছরের মাথায় পুনরায় ভাঙন দেখা দেয়। চলতি বছরের জুন মাসে ১২০ মিটার ভাঙন রোধে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি প্রকল্প হিসেবে ওই কাজের দায়িত্ব দেয় ঠিকাদার টিটুকে। প্রাক্কলন অনুযায়ী ১ হাজার ৮৯৫টি জিও ব্যাগ তৈরির কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ৪৯৫টি ব্যাগ প্রস্তুত হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এর মধ্যে ১৩৮টি ব্যাগে সিমেন্ট দেওয়া হয়নি, বাকিগুলোর সিমেন্টও মানসম্মত নয়।

এছাড়া চুক্তি অনুসারে পাইলিংয়ের কাজেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। মানসম্মত ড্রাম সিট ও কাঠের গুঁড়ি ব্যবহার না করে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ইছা বিশ্বাস, ওহিদুল হাওলাদার ও ইউনুচ হাওলাদার। তারা বলেন, এক বস্তা সিমেন্ট দিয়ে ১৫টি ব্যাগ তৈরি করা হচ্ছে, যা নিয়মবহির্ভূত।

এ ঘটনায় স্থানীয়রা বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিকদার এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে অনিয়ম পেয়ে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। ইউপি সদস্য আবু জাফর জানান, স্থানীয়দের অভিযোগের পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা এসে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। ঠিকাদার মনিরুজ্জামান টিটু অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড এসে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আমি সঠিকভাবে তদারকি করতে পারলে হয়তো এমন অনিয়ম হতো না।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান বলেন, অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হান্নান প্রধান জানান, অভিযোগের পরপরই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অনিয়ম দূর করে কাজ পুনরায় শুরু করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন