শরীয়তপুরে ছাত্রদল-এনসিপির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৫
শরীয়তপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদীকে গুলি করে হত্যা এবং খুলনায় শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক মোতালেব শিকদারের ওপর গুলির ঘটনার প্রতিবাদ ও দোষীদের বিচারের দাবিতে এনসিপির নেতাকর্মীরা শরীয়তপুর শহরের চৌরঙ্গী এলাকা দিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। মিছিলের মধ্যে এক ছাত্রদল কর্মীর মোটরসাইকেল ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হলে অন্তত পাঁচজন আহত হন। এ ঘটনায় দুই দলের নেতাকর্মীরা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহেল তালুকদার বলেন, আমাদের ছাত্রদলের এক কর্মী রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বাধার মুখে পড়ে। বিষয়টি জানার পর আমরা ঘটনাস্থলে গেলে এনসিপির নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
পাল্টা অভিযোগ করে জেলা নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাবেক যুগ্ম সমন্বয়কারী সবুজ তালুকদার বলেন, আমরা হাদি হত্যার বিচার এবং খুলনায় এনসিপি নেতার ওপর গুলির প্রতিবাদে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় ছাত্রদলের এক কর্মী মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের মিছিলে ঢুকে পড়ে এবং আমাদের এক কর্মীর ওপর হামলা চালায়। পরে আমরা তাকে ধরে রাখলে ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহেল ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরাও এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, এনসিপির মিছিলে একটি মোটরসাইকেল ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক পুনরুত্থান /
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
আপনার মতামত লিখুন: