হাদির দাফন শেষে মোনাজাতে কান্নায় ভেঙে পড়েন সবাই
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের প্রাঙ্গণ যেন রূপ নেয় এক শোকস্তব্ধ জনসমুদ্রে। জানাজার নামাজ শেষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি চত্বরে শহীদ শরীফ ওসমান হাদিকে দাফনের সময় মোনাজাতে কান্নায় ভেঙে পড়েন উপস্থিত মানুষ। চোখের জল, দোয়া আর ভারী নীরবতায় শেষ বিদায় জানানো হয় হাদীকে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশের কবরস্থানে ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়। এরপর উপস্থিত সবাইকে নিয়ে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
দাফন শেষে মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন কবরস্থান গেটের বাইরে অবস্থানরত স্বেচ্ছাসেবী, রাজনৈতিক সহযোদ্ধা এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরাও। দাফনের মুহূর্তে পুরো এলাকা নীরব হয়ে যায়। মোনাজাত শুরু হতেই অনেকেই আর চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। কেউ দুহাত তুলে কান্নায় ভেঙে পড়েন, কেউ নিচুস্বরে কোরআনের আয়াত পড়তে থাকেন।
দাফনকালে উপস্থিতরা হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, তার মৃত্যু শুধু পরিবারের নয়, গোটা দেশের জন্যই এক অপূরণীয় ক্ষতি।
আশিকুর রহমান নামক এক স্বেচ্ছাসেবী বলেন, দায়িত্বের কারণে হাদি ভাইকে কাছাকাছি থেকে দেখতে পারিনি। তাই বাইরে দাড়িয়ে থেকে আক্ষেপ নিয়েই হাদি ভাইকে বিদায় দিলাম। তিনি কেবল একজন ব্যক্তি ছিলেন না, ছিলেন একটি বিশ্বাসের নাম।

হাদির পরিবার ও স্বজনদের আহাজারিতে আরও ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। প্রিয়জনকে কবরে শায়িত করার শেষ মুহূর্তে স্ত্রী-স্বজন ও সহকর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। সহযোদ্ধারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে চোখ মুছতে থাকেন।
শেষ মোনাজাতে মুসল্লীরা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেন- তিনি যেন শহীদ শরীফ ওসমান হাদিকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারকে এই কঠিন ক্ষতি সহ্য করার শক্তি দান করেন।
দৈনিক পুনরুত্থান /
- বিষয়:
- হাদির দাফন
- মোনাজাত
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
আপনার মতামত লিখুন: