• ঢাকা
  • রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

হাসপাতালের চাদর-বালিশ নিতে বাধা দেওয়ায় ৪ স্টাফকে মারধর


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৮:৩৭ পিএম
হাসপাতালের চাদর-বালিশ নিতে বাধা দেওয়ায় ৪ স্টাফকে মারধর

বরগুনায় হাসপাতাল থেকে সরকারি চাদর এবং বালিশ নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ইমার্জেন্সি অ্যাটেনডেন্টসহ চার স্টাফকে মারধর করেছেন রোগীর স্বজনরা। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে বরিশালে রেফার্ড হওয়া আহত এক রোগীর স্বজনরা এ মারধর করেন।

আহত স্টাফরা হলেন- ইমার্জেন্সি অ্যাটেনডেন্ট মো. ফারদিন মৃধা (২৬) ও সুজন (২৪), স্ট্রেচার বেয়ারা মো. মাইনুদ্দিন (২৫) এবং নিরাপত্তা প্রহরী   রায়হান মৃধা (২১)। 

শুক্রবার (২০ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। একই দিন রাত ১০টার দিকে ভুক্তভোগী মো. ফারদিন মৃধা বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ ৫-৭ জনকে অজ্ঞাত করে বরগুনা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলেন- বাদল মুন্সি (২৮), বেল্লাল (২৪), মহিবুল মৃধা (১৯), শাওন (২২), সবুজ (২৩), সাইফুল ইসলাম (১৯), নিজাম ড্রাইভার (৩৫) এবং মাইনুল ইসলাম (২৩)।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বিকেলে হাতে পায়ে জখম নিয়ে আবু বক্কর নামে এক আহত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। পরে চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ সময় আবু বক্করকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে  বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা করলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সরকারি চাদর এবং বালিশ সঙ্গে নেয় স্বজনরা। পরে হাসপাতালের ভুক্তভোগী স্টাফরা বাধা দিলে তাদেরকে মারধর করে আহত আবু বক্করের স্বজনরা। এসময় ওই স্টাফদের চিৎকার শুনে হাসপাতালের অন্য স্টাফরাও ছুটে আসেন। পরে মারধরে জড়িত থাকা চারজনকে ধরে পুলিশ হেফাজতে দিয়ে দেন তারা। 

হাসপাতালের ইমার্জেন্সি অ্যাটেনডেন্ট ফারদিন মৃধা বলেন, বিকেলে হাতের রগ কেটে যাওয়া আবু বক্কর নামে এক রোগী চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বরিশাল রেফার্ড করা হয়। তবে তার স্বজনরা আর্থিক অবস্থা খারাপ বলে প্রায় তিন ঘণ্টা পর্যন্ত হাসপাতালের জরুরি বিভাগেই ছিল। পরে আমাদের স্টাফদের ঘুমানোর রুম থেকে চাদর এবং বালিশসহ রোগীকে নিয়ে বরিশাল রওনা দিতে চান স্বজনরা। এ সময় আমরা চাদর এবং বালিশ ফেরত চাইলে রোগীর সঙ্গে থাকা প্রায় ১০-১৫ জন মিলে আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ এবং আমাদেরকে মারধর করেন।   

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, হাসপাতালের চাদর এবং বালিশ নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে কর্মরত কয়েকজন স্টাফকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগীরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়া ঘটনার সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চারজনক আটকে রাখেন। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। 

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন