আত্রাই-সিংড়ার বেরি বাঁধ কাম পাকা সড়ক
 
	নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আত্রাই-সিংড়া সড়কের শিকারপুর নামকস্থানে সোমবার দুপুরে হঠাৎ করেই বেড়িবাঁধ কাম পাকা সড়ক ধ্বসে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে আত্রাই উপজেলা সদরের সাথে পূর্বাঞ্চলের লোকজনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয়রা বলছেন,ইঁদুরের গর্ত দিয়ে পুকুরের পানি বের হবার সময় সুরঙ্গের সৃষ্টি হয় এবং সড়ক ধ্বসে যায়।
	  
	  শিকারপুর গ্রামের হিরো আলম বলেন,গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে নদী-নালা,পুকুর-ডোবা পানিতে ভরপুর হয়ে যায়। এর মধ্যেই বাঁধকাম পাকা সড়কের ওই স্থানে ইঁদুর গর্ত করে। সেখানে সড়ক সংলগ্ন স্থানে পুকুরে পানি উপচে পড়ায় ধীরে ধীরে গর্ত দিয়ে পানি বের হতে থাকে। এক পর্যায়ে বড় সুরঙ্গের সৃষ্টি হয়ে দুপুর দেড়টা নাগাদ পাকা সড়ক ধ্বসে যায়। এতে উপজেলা সদরের সাথে ওই এলাকার ভাঙ্গাজাঙ্গাল,হরিপুর,বিশা,বৈঠাখালি,স্যান্ডালপাড়া,দিঘীরপাড়,উদয়পুরসহ কয়েক গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
ভ্যান চালক আরিফুল ইসলাম বলেন,ভাঙ্গাজাঙ্গাল থেকে যাত্রী নিয়ে আত্রাই উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথি মধ্যে শিকারপুর নামক স্থানে এসে দেখতে পান অনেক মানুষজন জরো হয়ে আছে। এর কিছু পরেই প্রায় ১৫/২০ফিট পর্যন্ত এরিয়া নিয়ে পাকা সড়ক ধ্বসে যায়। ফলে তিনি আর সদরে পৌছতে পারেননি। তিনি দ্রুত সড়কটি মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় নাজমুল হোসেন (৬৫)জানান,আত্রাইয়ের গুড়নদীর বাঁধ কাম পাকা সড়ক আত্রাই সদর থেকে নাটোরের সিংড়া সদরের সাথে মিলিত হয়েছে। এই সড়কে প্রতি বছর ইঁদুরের অসংখ্য গর্ত করার কারনে বর্ষা নামলেই গর্ত থেকে সুরঙ্গের সৃষ্টি হয় এবং নদীতে পানির চাপ বাড়লেই সেখানে ধ্বসে ফসলি জমি তলিয়ে ব্যপক ক্ষতির মুখে পরেন কৃষকরা। এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে চলাচলে চরম বেকায়দায় পরেন এলাকাবাসী। তাই ইঁদুরের গত করা রোধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ঠদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তিনি।
 নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে,গত ১নভেম্বর আত্রাই রেলওয়ে স্টেশন পয়েন্টে বৃটিপাতের পরিমান রেকর্ড করা হয়েছে ২২২মিলিমিটার। এর পর থেকে আত্রাই নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ৩১অক্টোবর থেকে (৩নভেম্বর) সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই তিন দিনে নদীতে সমতল পানি বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২২৯ সেন্টিমিটার।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগ-৩ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল বলেন, বাঁধ কাম পাকা সড়ক ধ্বসে যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার খবর পেয়ে সেখানে পরিদর্শনের জন্য অফিসারদের পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই ধ্বসে যাওয়া স্থান মেরামত করে চলাচল স্বাভাবিক করা হবে। এছাড়া বাঁধ কাম পাকা সড়কে ইঁদুরের গর্ত রোধে জোরালো পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি বলেন,বৃষ্টিপাত না হলে নদীতে আর পানি বাড়ার সম্ভবনা নেই। তবে বৃষ্টিপাত হলে কিছুটা পানি বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
	  
	  দৈনিক পুনরুত্থান /
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
             
			
                						
			
                    											  			
									
                    											  			
									
                    											  			
									
                    											  			
									
                    											  			
									
                    											  			
									
                    											  			
									
                    											  			
									
                    											  			
								
                    											  			
								
                    											  			
								
                    											  			
								
                    											  			
								
                    											  			
								
                    											  			
								
                    											  			
								
                    											  			
								
                    											  			
								
                    											  			
								
                    											  			
								
                    											  			
								
                    											  			
								
                    											  			
								
                    											  			
								
                    											  			
								
                    											  			
								
	 
                    											  			
									
                    											  			
									
                    											  			
									
                    											  			
									
                    											  			
									
                    											  			
									
আপনার মতামত লিখুন: