চাকসু নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ উত্থাপন করেন ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের ভিপি (সহসভাপতি) প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন।


সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকেই ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা এবং পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে সাতটি অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন তারা।
ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের উত্থাপিত সাতটি অভিযোগ হলো—
১. ভোটকেন্দ্রের ১০০ গজের মধ্যে বিভিন্ন প্রার্থী প্রকাশ্যে ভোট চেয়েছেন এবং ভোটারদের হাতে স্লিপ বিতরণ করেছেন।
২. ভোটের কালি সহজেই মুছে যাচ্ছে।
৩. বহু ব্যালটে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার স্বাক্ষর নেই।


৪. দুপুর ১২টার দিকে প্রায় ৪০-৪৫ মিনিট ধরে একাধিক কেন্দ্রে এলইডি স্ক্রিন বন্ধ ছিল।
৫. এক নারী সদস্য ভোটারদের বিরক্ত করেছেন এবং ভোটের স্লিপ বিতরণ করেছেন।
৬. নতুন কলা অনুষদের সামনে লাঠি ও ইট নিয়ে সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
৭. এক নম্বর গেট দিয়ে বহিরাগতদের প্রবেশের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আশ্বাস সত্ত্বেও এলইডি স্ক্রিন ও ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা সঠিকভাবে কাজ করেনি। তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন আগের দিন প্রজেকশন মিটিংয়ে মাইক ব্যবহার করে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে।


চাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থী মো. শাফায়াত হোসেন বলেন, আমাদের আইডি কার্ড ও ছবি যাচাই করেও কিছু ভোটগ্রহণকারী স্বাক্ষরহীন ব্যালট দিয়েছেন। ফরহাদ হলে ৪৩১ ও ৪৩২ নম্বর বুথে এক নারী সদস্যের স্লিপ বিতরণের প্রমাণ আছে। নতুন কলা অনুষদে আমাদের ওপর লাঠি ও বাঁশ নিয়ে হামলার চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এই নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়নি। একাধিক শিক্ষক পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন এবং বিভিন্ন সংগঠনভিত্তিক প্রচারণা চালানো হয়েছে ক্যাম্পাসে। এমনকি আমার হাতের কালি পর্যন্ত মুছে গেছে।
দৈনিক পুনরুত্থান /
- বিষয়:
- চাকসু নির্বাচন
- ছাত্রদল
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আপনার মতামত লিখুন: