• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

পল্লবীতে পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:২৮ পিএম
পল্লবীতে পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

পল্লবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির পল্লবী থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- পল্লবী থানার যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন (৩৫), পল্লবী থানার ৬ নং ওয়ার্ড  যুবলীগ নেতা মো. সাজু (৩৪), পল্লবী থানার ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক মো.  সৈকত ইসলাম (১৯), আওয়ামী লীগ কর্মী মো.বাচ্চু ব্যাপারী (৬০) ও আওয়ামী লীগ কর্মী রাজু (৫২)।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ১৯ জুলাই বিকেলে পল্লবী থানার মিরপুর-১০ আবুল তালেব স্কুলের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাস্তা পারাপারের সময় আকরাম খান রাব্বী তাদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ভিকটিম আকরামের বাবা ফারুক খানের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ আগস্ট পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

তদন্তাধীন এ মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে মিরপুর-১১ এলাকা থেকে আকরাম খান রাব্বী হত্যা মামলায় জড়িত আসামি মো. মামুন ও মো. সাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও জানান, গত ৪ আগস্ট বিকেলে পল্লবী থানার মিরপুর-১০ পপুলার-২ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন ভিকটিম মো. আবিদ। আন্দোলনে দেশীয় অস্ত্র, পিস্তলসহ অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় আবিদের ডান চোখে গুলি লেগে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ভিকটিম আবিদের ভাই জিন্নাত সাঈদীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ নভেম্বর পল্লবী থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। এ মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে পল্লবীর আদর্শ নগর এলাকা থেকে আন্দোলনে হামলার ঘটনায় জড়িত সৈকত, বাচ্চু ও রাজুকে গ্রেপ্তার  করা হয়।

দৈনিক পুনরুত্থান / নিজস্ব প্রতিবেদক

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন