বাউলদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : প্রেস সচিব
বাউল সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রতিক হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি যেটা জানি সেটা হলো, যারা বাউলদের আক্রমণ করেছে, তাদের খুব দ্রুত অ্যারেস্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী মানিকগঞ্জের পুলিশ কাজ করছে। অন্যান্য জায়গায় যেখানেই আক্রমণ হয়েছে সেখানে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। খুব দ্রুত আপনারা ফলাফল জানতে পারবেন।
প্রেস সচিব শফিকুল বলেন, বর্তমানে বড় বড় দুর্নীতির অনেকাংশ আইটি সাপোর্টে করা হয়। আমরা যত ক্যাশলেস ট্রানজেকশনে ঢুকছি, দেখা যাচ্ছে যে অনেক দুর্নীতি যেটা সেই আগের মতো টাকার বস্তা নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে না, নিমিষেই একটা ক্লিকের জোরেই হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে।
শফিকুল আলম বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর একটি কমিশন গঠন করেছিল। বাংলাদেশের দুর্নীতি কী কী এবং কীভাবে দমন করা যায়, এ বিষয়ে তাদের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব ছিল। সেই কমিশন একটি বড় রিপোর্ট জমা দিয়েছিল। সেই আলোকেই দুর্নীতি দমন কমিশনকে কীভাবে আরও অ্যাফেক্টিভ (কার্যকর) একটা সংগঠন করা যায়, বাংলাদেশের শেখ হাসিনার আমলে যেভাবে দুর্নীতি বিস্তার লাভ করেছিল সেটাকে কীভাবে রোধ করা যায়— সে বিষয়ে ‘দুর্নীতি দমন আইন সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫’ নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন হয়।
তিনি জানান, অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও টিআইবির ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ অন্যরা কয়েক সপ্তাহ ধরে কাজ করেছেন।
প্রেস সচিব আরও জানান, নতুন অধ্যাদেশে লাস্ট মোমেন্টে এটা একটা ওভারসাইট বডি যেটা বাছাই কমিটি হিসেবে কাজ করার কথা ছিল সেটাকে ড্রপ করা হয়েছে। কেননা আমাদের দেশে দুর্নীতি যেভাবে স্তরে স্তরে (লেয়ারে লেয়ারে) আছে, দেখা যাচ্ছে যে ওভারসাইট একটা বডি করলেও সেখানে আবার দুর্নীতি বিস্তার লাভ করতে পারে।
শফিকুল আলম জানান, পাঁচজন কমিশনার থাকবেন। তাদের মধ্যে কমপক্ষে দু-একজন থাকবেন যাদের আইটি ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে। এছাড়া একজন নারী কমিশনার নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। নতুন আইনে বলা হয়েছে যে দুর্নীতি দমন কমিশনের কাজের প্রতিবেদন প্রতি ছয় মাসে অনলাইনে পোস্ট করবে। যারা দুর্নীতি দমন কমিশনে আছেন, মূলত অফিসারদের তাদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সারা দেশে যত ভবন আছে সেগুলোর নির্মাণ বিল্ডিং কোড অনুযায়ী করতে অনুমোদন দেওয়ার জন্য একটা আলাদা কর্তৃপক্ষ করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আজ গণপূর্ত এবং গৃহায়ন মন্ত্রণালয়কে খতিয়ে দেখতে বলেছেন— এমন কোনও কর্তৃপক্ষ করা যায় কিনা, যার আওতায় সারা দেশ থাকবে। যেমন- আমি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দেখেছিলাম, ধান ক্ষেতের মাঝখানে প্রাসাদের মতো চার তলা বাড়ি, সিলেটের প্রবাসীরা প্রত্যন্ত গ্রামে বড় বড় কন্সট্রাকশন করে রেখেছেন, এগুলো প্রত্যেকটি বাড়ির ক্ষেত্রেই যেন আমরা নিয়ম মেনে চলি সেই বিষয়ে আজ প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন।
দৈনিক পুনরুত্থান /
- বিষয়:
- বাউল
- হামলা
- প্রেস সচিব
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
আপনার মতামত লিখুন: