• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

Advertise your products here

  1. জাতীয়

মিথ্যা মামলা দিয়ে মাছের ঘের দখলের পায়তারা: প্রতিবাদে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৮:২২ পিএম
মিথ্যা মামলা দিয়ে মাছের ঘের দখলের পায়তারা: প্রতিবাদে মানব বন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল

বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের সাতলা সমন্বিত মৎস ঘেরের জমি মালিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার নেপথ্যে এলাকার চিন্থিত মামলাবাজ ও বহু মামলার আসামি মিজানুর রহমান ওরফে আরমি মিজান।

এই ঘটনায় ২১ নভেম্বর সকাল ১০ টায় সাতলা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত সাতলা সমন্বিত মৎস ঘেরের পারে হয়রানি,মিথ্যা মামলা ও ঘের দখলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন,বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।ঘের সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যার শিকার  চাঞ্চল্যকর ইদ্রিস হাওলাদার ও তার ভাই সাগর হাওলাদার জোড়া খুনের মামলার এজহারভুক্ত ভুক্ত ২২ নম্বর আসামী ইউনিয়ন  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহিন হালাদের অন্যতম সহযোগী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিয়ার বিরুদ্ধে মানববন্ধন, বিক্ষোভ  মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে ঘের কমিটির সভাপতি ফয়জুল হক বালি ফারাহীন জানান, চলতি বছর ২৪ আগস্ট মৎস্য ঘের সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শনিবার রাত সাড়ে নটার দিকে নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হন সাতলা বাজার ব্যবসায়ী ও ঘের মালিক ইদ্রিস হাওলাদার  ও তার চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদার।

এ মামলায় আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার সহ ২৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় বর্তমানে ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার জেল হাজতে রয়েছেন। তারই প্রতিশোধ নিতে ও ঘের দখল করে মাছ লুটপাট করার উদ্দেশ্যে হত্যার শিকার ইদ্রিস হাওলাদারের কলেজ পড়ুয়া ছেলে নায়েব হাওলাদার কে(১৯) প্রধান আসামি করে ১৫ জন জমির মালিকের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা সহ বিভিন্ন ধারায় বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে  মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় ইদ্রিস ও সাগর হত্যা মামলার ২২ নং এজাহার ভুক্ত আসামি মোঃ মিজান মিয়ার ছোট বোন মমতাজ খানমকে বাদী করা হয়। তিনি আরো বলেন ১৫ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ১১ টায় মিজানুর রহমানের ভাই মনিরুজ্জামান মিয়াকে ভিকটিম বানিয়ে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি না করে আগৈলঝারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে সাজানো মামলা দায়ের করেন।

মিজানুর রহমান মিয়া তিনি এক সময় সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।এরপর থেকে এলাকায় কারো সাথে বিরোধ বাধলে তিনি নিকটতম স্বজনদের মাথার বিভিন্ন অংশে যখম তৈরি করে হাসপাতালে ভর্তি করে মামলা আদায় করেন বলে অভিযোগ করেন।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় আব্দুস সাত্তার মিয়া সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইউপি সদস্য মোনাফসের হাওলাদার, জাকির মিয়া, সালাম বিশ্বাস, বনি আমিন বালি, মোস্তফা মিয়া, মিলন বিশ্বাস,ঘের সভাপতি ফয়জুল হক বালী ফারাহীন এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন সেলিম মিয়া, আমজেদ মিয়া, ফরহাদ মীয়া,কামাল হোসেন, হান্নান হাওলাদার। 

মামলার বাদী মমতাজ বেগম মুক্তা জানান,তার ভাই মিজানুর রহমানকে মিথ্যা হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে এবং ১৫ নভেম্বর সকাল ১১ টায় তার ভাই মনিরুজ্জামান মিয়াকে প্রতিপক্ষরা মাথায় কুপিয়ে জখম করায় তিনি বাদী হয়ে মামলা আদায় করেন। অভিযুক্ত মিজানুর রহমান মিয়া তিনি জানান, বিরোধী ও ঘেরে তিনি মাছ ছেড়েছেন কিন্তু তাকে ঘের দখল দিচ্ছে না, এবং তার ভাই খাবার দিতে গেলে তিনি হামলা শিকার হন।এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন।

দৈনিক পুনরুত্থান / নিজস্ব প্রতিবেদক

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন