অগ্নিকাণ্ডে ফ্লাইট বাতিল, শাহজালালে ভোগান্তিতে যাত্রীরা
.jpg.webp)
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের ঘটনায় বাংলাদেশ বিমানের কুয়েতগামী একটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। আটটি ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণের পরিবর্তে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। এ ছাড়া একাধিক ফ্লাইট আকাশ থেকেই দেশ-বিদেশের অন্য বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।


অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরে সব ধরনের উড়োজাহাজ ওঠানামা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার পর উড়োজাহাজ ওঠানামা সাময়িক স্থগিত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিমানবন্দর সূত্র বলছে, বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ২৬৭ জন যাত্রী নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট কুয়েতের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। যাত্রী, কেবিন ক্রু ও পাইলটরাও বিমানে উঠে বসেছিলেন।
আগুনের কারণে ফ্লাইট ছাড়ার আগমুহূর্তে যাত্রীসহ সবাইকে নামিয়ে আনা হয়।
যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় তারা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ অবস্থায় বিভিন্ন জেলার গ্রামাঞ্চল থেকে বিমানবন্দরে এসে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন তারা।


কামরুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, আগুনের কারণে এখন চেকিং বন্ধ রয়েছে।
কখন চেকিং শুরু হবে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কিছু বলেননি বলেও জানান।
আরেক যাত্রী বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে৫৮৭ আমার ফ্লাইট ছিল। সেই ফ্লাইট রাত ৩টায় করা হয়েছে। পরিবার নিয়ে এখন কোথায় যাবো। আনসার সদস্যরা কোনো সাহায্য করছে না।
এতে পরিবার নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।
এ ছাড়া হিমালয় এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট ১৮০ জন যাত্রীসহ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল। পরে সেটাকে নেপালে ফেরত পাঠানো হয়েছে। দুবাই থেকে ছেড়ে আসা এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট করাচি বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে।


চেন্নাই থেকে ছেড়ে আসা ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইট কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে। শারজাহ থেকে ছেড়ে আসা এয়ার অ্যারাবিয়ার একটি ফ্লাইট চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক পুনরুত্থান /
- বিষয়:
- অগ্নিকাণ্ড
- ফ্লাইট বাতিল
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আপনার মতামত লিখুন: