• ঢাকা
  • সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

আইনি লড়াই শেষে গেজেটেড পদমর্যাদা পেলেন ৪৫ প্রধান শিক্ষক


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:০৪ পিএম
আইনি লড়াই শেষে গেজেটেড পদমর্যাদা পেলেন ৪৫ প্রধান শিক্ষক

দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন ১১তম গ্রেড থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে তাদের গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদাও দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। 

মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সেবিকা সুলতানার সই করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০১৮ সালে করা এক রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের রায়, চলতি বছরের ১৩ মার্চ আপিল বিভাগের রায় এবং ২০২৫ সালের ৬ অক্টোবর অর্থ বিভাগের মতামতের আলোকে ওই ৪৫ জন রিটকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১১তম গ্রেড থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত করা হলো। অর্থ বিভাগের মতামত অনুযায়ী, হাইকোর্টের রায়ের তারিখ অর্থাৎ ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকেই এ সুবিধা কার্যকর ধরা হবে।

এর আগে, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ তৎকালীন সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদে উন্নীত করার ঘোষণা দেয়। একই দিন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করলেও পরে প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১১তম এবং অপ্রশিক্ষিতদের জন্য ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করে। এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন শুরু করে।

পরে ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও অপ্রশিক্ষিত—উভয় প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে নির্ধারণ করতে হবে। রায়ে ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে তা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

সরকার ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলেও ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আপিল খারিজ করে রায় বহাল রাখে। রায় কার্যকর না হওয়ায় প্রধান শিক্ষকরা আদালত অবমাননার মামলা করেন। এরপর দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে চলতি বছরের ১৩ মার্চ আপিল বিভাগ সিভিল রিভিউ পিটিশন নিষ্পত্তি করে। সোমবার অবশেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রায় বাস্তবায়ন হলো।

এদিকে চলতি বছরের ২৮ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দেশের ৬৫ হাজার ৫০২ প্রধান শিক্ষকের বেতন বিদ্যমান ১১তম (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) ও ১২তম (অপ্রশিক্ষিত) গ্রেড থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত করার বিষয়ে সরকারের সম্মতি রয়েছে। এতে প্রধান শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে এবং প্রাথমিক শিক্ষায় মানোন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজ বলেন, দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে অবশেষে প্রধান শিক্ষকদের প্রাণের দাবি বাস্তবায়ন করায় সরকারের সবগুলো পক্ষকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। এটি শুধু বেতন নয়, আমাদের মর্যাদার প্রতিফলনও।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন