• ঢাকা
  • বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আমতলীর ইউএনওর গোপন বৈঠক! ছবি ভাইরাল, দ্রুত ব্যবস্থা চায় বিএনপি-জামায়াত


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:১৮ পিএম
আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আমতলীর ইউএনওর গোপন বৈঠক! ছবি ভাইরাল, দ্রুত ব্যবস্থা চায় বিএনপি-জামায়াত

বরগুনার আমতলীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খাঁনের সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার গোপন বৈঠকের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

বিএনপি ও জামায়াত নেতারা বিষয়টির তদন্ত ও ইউএনওর অপসারণ দাবি করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ জুন আমতলী চৌরাস্তায় সকাল-সন্ধ্যা হোটেলের ভিআইপি কক্ষে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গাজী সামসুল হক, সভাপতি মতিয়ার রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বশির মৃধা, রাসেল, ট্রাফিক বিভাগের এসআই নুরুজ্জামানসহ আরও কয়েকজন।

বৈঠকের পর তাদের একসঙ্গে খাবার খাওয়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়, ইউএনও রোকনুজ্জামান খাঁন হোটেলের ভিআইপি কক্ষে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে খাবার টেবিলে বসে আছেন। আরেকটি ছবিতে ইউএনওর পরিবার ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন বিপ্লবের সঙ্গে পারিবারিক পরিবেশে তোলা ছবি রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, ইউএনওকে প্রায়ই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে উঠাবসা করতে দেখা যায়। তাদের অভিযোগ, তিনি প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা না রেখে এক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলেছেন।

জামায়াতে ইসলামী আমতলী উপজেলা শাখার আমির মাওলানা মো. ইলিয়াস হোসাইন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে একজন সরকারি কর্মকর্তার বৈঠক গর্হিত কাজ। এতে তার প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আমরা তার অব্যাহতি দাবি করছি। আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সৈয়দ আসাদুজ্জামান কাওসার বলেন, ইউএনও রোকনুজ্জামান খাঁন আওয়ামী লীগের দোসরদের লালন করছেন। গোপনে বৈঠক, খাওয়া-দাওয়া ও প্রকাশ্যে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে চলাফেরা তার নিরপেক্ষতার পরিপন্থী।

জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খাঁনের সরকারি মোবাইল ফোনে (০১৭৯৭৭৯৩৭২২) একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সফিউল আলম বলেন, সরকারি কর্মকর্তার রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে এমন বৈঠক করা সমীচীন নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দৈনিক পুনরুত্থান / হাফিজুর রহমান, বরগুনা জেলা প্রতিনি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন