• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগ সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:৫৮ পিএম
আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগ সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে
সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টির তৎকালীন উপাচার্য মো. হাসিবুর রশীদের সম্পৃক্ততার তথ্য উঠে এসেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার জবানবন্দিতে এ তথ্য প্রকাশ পায়।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) আবু সাঈদ হত্যা মামলায় তৃতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে জানান, আন্দোলনের সময় কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী নিরীহ ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন তৎকালীন উপাচার্য হাসিবুর রশীদ।

জবানবন্দিতে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও হাসিবুর রশীদ আসামিদের বেআইনি কার্যক্রম বন্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেননি। তদন্তে তার এ নিষ্ক্রিয়তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

তিনি আরও জানান, তৎকালীন রংপুরের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন- এমন তথ্যও তদন্তে উঠে এসেছে।

আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বর্তমানে ছয়জন আসামি গ্রেপ্তার রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন হলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর শরিফুল ইসলাম।

তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থেকেও সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম অন্য আসামিদের বেআইনি কার্যক্রম প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। বরং আবু সাঈদকে হত্যা এবং অন্যদের গুরুতর জখম করার ঘটনায় উসকানি ও সহযোগিতা করেছেন।”

জবানবন্দিতে আরও বলা হয়, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া আবু সাঈদকে হত্যা ও অন্যদের মারাত্মকভাবে আহত করার ঘটনায় উসকানি দেন এবং প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা জানান, গত বছরের ১১ জুলাই তিনি আবু সাঈদকে থাপ্পড়ও মারেন।

এ ছাড়া পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন এবং সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করেন বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করা হয়।

এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি কার্যক্রম ট্রাইব্যুনালে চলমান রয়েছে।

দৈনিক পুনরুত্থান / নিজস্ব প্রতিবেদক

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন