গাজীপুরে ১৩ বছরের শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

গাজীপুরে ১৩ বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীরা।


শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভিক্টোরিয়া পার্কসংলগ্ন বিশ্বজিৎ চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘ধর্ষকের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘আমার বোন ধর্ষণ কেনো, ইন্টারিম জবাব চাই’, ‘ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে, দিতে হবে’—এমন নানা স্লোগান দেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশে বারবার সংঘটিত ধর্ষণের ঘটনাগুলো কখনোই স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়া যায় না। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক ও ন্যায়সংগত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা ও পুনর্বাসনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ধর্ষক ও নিপীড়নকারী ব্যক্তিদের একমাত্র ঠিকানা জেলখানা ও জাহান্নাম। গাজীপুরের ঘটনার দ্রুত বিচার করতে হবে।
শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, ইন্টারিম সরকারের সময়ে এখন পর্যন্ত চার শতাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু বিচার হচ্ছে না। ধর্ষকের কোনো ধর্ম নেই—তার একমাত্র পরিচয় সে ধর্ষক। তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।


আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য মাসুদ রানা বলেন, দেশে একের পর এক ধর্ষণকে স্বাভাবিক করা হচ্ছে, বিচার দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে। অবিলম্বে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক সাজ্জাদ হুসাইন মুন্না বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে এরকম ধর্ষণের ঘটনা হতাশাজনক। নারীদের চলাচল ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এই সরকারের অন্যতম দায়িত্ব। অনতিবিলম্বে গাজীপুরের পাশবিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, প্রয়োজনে বিশেষ আইন করা হোক।
দৈনিক পুনরুত্থান /
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আপনার মতামত লিখুন: