জিলহজের যেদিন রোজা রাখলে দুই বছরের গুনাহ মাফ

জিলহজ মাসের নবম দিন আরাফার দিন। ওইদিন রোজা রাখার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। রাসুল (সা.) ওই দিন রোজা রাখলে দুই বছরের গুনাহ মাফের সুসংবাদ দিয়েছেন। একটি দীর্ঘ হাদিসে এসেছে,


عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الأَنْصَارِيِّ، رضى الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنْ صَوْمِهِ قَالَ فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ عُمَرُ رضى الله عنه رَضِينَا بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً وَبِبَيْعَتِنَا بَيْعَةً . قَالَ فَسُئِلَ عَنْ صِيَامِ الدَّهْرِ فَقَالَ " لاَ صَامَ وَلاَ أَفْطَرَ " . أَوْ " مَا صَامَ وَمَا أَفْطَرَ " . قَالَ فَسُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمَيْنِ وَإِفْطَارِ يَوْمٍ قَالَ " وَمَنْ يُطِيقُ ذَلِكَ " . قَالَ وَسُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمٍ وَإِفْطَارِ يَوْمَيْنِ قَالَ " لَيْتَ أَنَّ اللَّهَ قَوَّانَا لِذَلِكَ " . قَالَ وَسُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمٍ وَإِفْطَارِ يَوْمٍ قَالَ " ذَاكَ صَوْمُ أَخِي دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ " . قَالَ وَسُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الاِثْنَيْنِ قَالَ " ذَاكَ يَوْمٌ وُلِدْتُ فِيهِ وَيَوْمٌ بُعِثْتُ أَوْ أُنْزِلَ عَلَىَّ فِيهِ " . قَالَ فَقَالَ " صَوْمُ ثَلاَثَةٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ وَرَمَضَانَ إِلَى رَمَضَانَ صَوْمُ الدَّهْرِ " . قَالَ وَسُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ عَرَفَةَ فَقَالَ " يُكَفِّرُ السَّنَةَ الْمَاضِيَةَ وَالْبَاقِيَةَ " . قَالَ وَسُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ عَاشُورَاءَ فَقَالَ " يُكَفِّرُ السَّنَةَ الْمَاضِيَةَ " . وَفِي هَذَا الْحَدِيثِ مِنْ رِوَايَةِ شُعْبَةَ قَالَ وَسُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الاِثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ فَسَكَتْنَا عَنْ ذِكْرِ الْخَمِيسِ لَمَّا نَرَاهُ وَهْمًا .
আবু কাতাদাহ আল-আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.)-কে তাঁর রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়।
এতে রাসুল (সা.) রাগ করেন। তখন উমর (রা.) বলেন, আমরা আল্লাহর ওপর রব হিসেবে, ইসলামের ব্যাপারে দ্বিন হিসেবে ও মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর রাসুল হিসেবে এবং আমাদের বাইয়াতের ব্যাপারে আমরা সন্তুষ্ট।
অতঃপর পুরো বছরের রোজার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি বলেন, সে রোজা রাখেনি ও ইফতারও করেনি।
অতঃপর একাধারে দুই দিন রোজা রাখা ও একদিন না রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘এভাবে রোজা রাখার সামর্থ্য কার আছে?’ অতঃপর একদিন রোজা রাখা ও দুই দিন রোজা না রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ যেন আমাদের এমন রোজা রাখার সামর্থ্য দেন।’


অতঃপর একদিন রোজা রাখা ও একদিন না রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, ‘তা আমার ভাই দাউদ (আ.)-এর রোজা।’ অতঃপর সোমবারের রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিন আমি জন্ম নিয়েছি এবং এই দিন আমি নুবুওয়াত লাভ করেছি বা আমার ওপর (কোরআন) নাজিল হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রতি মাসে তিনদিন এবং পুরো রমজান মাস রাখা পুরো বছর রোজা রাখার সমতুল্য।
’ অতঃপর আরাফার দিনের রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এতে আগের বছর ও পরের বছরের গুনাহ মাফ করা হয়।’ অতঃপর আশুরার রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আগের বছরের গুনাহ মাফ করা হবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)
দৈনিক পুনরুত্থান /
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আপনার মতামত লিখুন: