থানা থেকে জাটকা লুটের ঘটনায় তদন্তে পুলিশ,মামলার প্রস্তুতি
বরগুনার আমতলীতে নৌ-বাহিনী ও উপজেলা মৎস্য বিভাগের জব্দকৃত ১,৫০০ কেজি জাটকা ইলিশ আমতলী থানা প্রাঙ্গণ থেকে প্রকাশ্যে লুট হয়েছে। এ ঘটনায় মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা–কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী ছুরিকাটা এলাকায় নৌ-বাহিনী, মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনের যৌথ অভিযানে কুয়াকাটা থেকে ঢাকাগামী চারটি যাত্রীবাহী বাস তল্লাশি করে প্রায় ১৫ শত কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে জব্দকৃত মাছগুলো আমতলী মৎস্য বিভাগের ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর ইশরাত হোসেন হিমেলের উপস্থিতিতে পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয় ৫০টি এতিমখানায় বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে বিকেলে মাছ বিতরণের সময় হঠাৎ দুই শতাধিক ব্যক্তি থানা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং মুহূর্তের মধ্যেই সব মাছ লুট করে নিয়ে যায়। প্রকাশ্যে দিবালোকে থানা প্রাঙ্গণে এমন ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটির ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে পড়লে জড়িতদের শাস্তির দাবি তুলেন সাধারণ মানুষ।
আমতলী মৎস্য বিভাগের ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর ইশরাত হোসেন হিমেল বলেন, জব্দকৃত মাছগুলো দুস্থ ও এতিমদের মাঝে বিতরণের কথা ছিল। কিন্তু কিছু ব্যক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে মাছ নিয়ে চলে যায়। এ বিষয়ে আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ঘটনার বিষয়ে সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। মৎস্য বিভাগের অভিযোগও পেয়েছি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
মামলার প্রস্তুতি চলছে। উল্লেখ্য, সরকার ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা ইলিশ ধরা, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ করেছে। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত জেলেদের জন্য ফেব্রুয়ারি থেকে চার মাস ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় প্রতি পরিবারে ৪০ কেজি করে চাল বিতরণের ব্যবস্থা রয়েছে।
দৈনিক পুনরুত্থান /
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
আপনার মতামত লিখুন: