প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ায় হলো শিহাবের কাল, দিতে হলো প্রাণ
চলতি বছর এসএসসি পাস করেছিলেন শিহাব। কে জানে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে তাকে দিতে হবে প্রান। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ায় হলো শিহাবের কাল।
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার হন শিহাব। ১২ দিন পর শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত শিহাব রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মিজানুর রহমান রিপনের ছেলে।
গত ২০ অক্টোবর রাতে প্রেমিকার আত্মীয়-স্বজনদের হাতে সে নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। পরে স্থানীয়রা ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সেদিন রাতে শিহাব পার্শ্ববর্তী বান্দুড়িয়া এলাকায় তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যান। তিনি তেতুলতলা বাকের কাছাকাছি পৌঁছালে প্রেমিকার আত্মীয়-স্বজনরা তাকে তাড়া দেন। শিহাব পালিয়ে মাঠের ভেতর দিয়ে দৌড়াতে থাকেন এবং অন্ধকারে দিক হারিয়ে একটি পুকুরে পড়ে যান। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি পুকুরে নেমে তাকে তুলে এনে বেধড়ক মারধর করেন।
অচেতন অবস্থায় শিহাবকে ফেলে রেখে চলে যায় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় তিনি জ্ঞান ফিরে পাননি। ১২ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর আজ শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর ২৪ অক্টোবর রাতে নিহতের বাবা মিজানুর রহমান রিপন নামীয় নয়জনসহ আরও আট-নয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গোদাগাড়ী থানায় মামলা করেন।
নামীয় আসামিরা হলেন- রতন আলী (৩২), মো. কানন (২২), সুজন আলী (৩২), ইয়ার উদ্দীন (৩২), মো. শরীফ (৩৫), মো. রাব্বি (২৫), মো. হালিম (৩০) ও মো. কলিম (৩২)। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত পুলিশ কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
গোদাগাড়ী থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে শিহাব হামলার শিকার হয়েছিল। তার মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
দৈনিক পুনরুত্থান /
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
আপনার মতামত লিখুন: