• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

বরগুনার তালতলীতে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার চেস্টা, আদালতে মামলা


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:২৫ পিএম
বরগুনার তালতলীতে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার চেস্টা, আদালতে  মামলা

বিয়ের নয় মাসের মধ্যে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার চেস্টার অভিযোগ এনে স্বামী ও শাশুরীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে স্ত্রী। সোমবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি গ্রহন করে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্তরা হলো, বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার নলবুনিয়া গ্রামের আবদুল হক আকনের ছেলে মো: মাসুম (৩৮) ও তার মা মরিয়ম বেগম। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু। জানা যায়, এ বছরের ১৫ জানুয়ারী মো: মাসুমের সঙ্গে একই উপজেলার রাশিদার সঙ্গে রেজিস্ট্রি কাবিনে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আসামীরা দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে গৃহবধুকে জ্বালা যন্ত্রনা দিতে থাকে।

তারপরও গৃহবধু স্বামীর সংসার করতে থাকে। গৃহবধু বলেন, ১৬ অক্টোবর রাত অনুমান ৮ টার সময় আমি স্বামীর ঘরে ঘুমাতে যাব। এমন সময় আমার স্বামী মাসুম ও শাশুরী মরিয়ম বেগম আবার আমার নিকট দুই লাখ টাকা যৌতুক চায়। আমি যৌতুক দিতে অস্বীকার করি। এতে আমার সঙ্গে ঝগড়া হয়। আমার স্বামী ও শাশুরী উত্তেজিত হয়ে আমাকে মারধর শুরু করে। মাসুম আমাকে হত্যা করার জন্য চুলের মুঠি ধরে এলোপাথারী কিল, ঘুষি, লাথি মারতে মারতে মাটিতে ফেলে দেয়।

আমি চিৎকার দিলে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে। আমার শাশুরী একই উদ্দেশ্য আমাকে মারতে থাকেন। স্বামী ও শাশুরীর হাত থেকে ছুটে দৌড়ে পাশের ঘরে গিয়ে জীবন রক্ষা করি। আমার বাবা মোঃ দেন আলীকে ফোন দিলে আমার ভাই নাসিরকে নিয়ে আমাকে উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আসামী মাসুমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত আদালতের আদেশ পাইনি। আদেশ পেলে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন