• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ আগষ্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

মায়ের কিডনিতে জীবন পাওয়া ছেলের ওপর প্রতিবেশীর হামলা, হাসপাতালে মৃত্যু


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ আগষ্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২:৫৫ পিএম
মায়ের কিডনিতে জীবন পাওয়া ছেলের ওপর প্রতিবেশীর হামলা, হাসপাতালে মৃত্যু

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে প্রতিবেশীর হামলা সুজন (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের পূর্বহুড়া গ্রামে। নিহত ওই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন সুজন। প্রায় দুই বছর আগে মায়ের দেওয়া একটি কিডনি প্রতিস্থাপনের পর তিনি নতুন জীবন ফিরে পান। স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন তিনি। কিন্তু চলতি বছরের ২৩ মে পারিবারিক বিষয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে হামলার শিকার হন সুজন।

হামলার পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। নিহতের মা খোকনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ছেলের জীবন বাঁচাতে আমি কিডনি দিয়েছি, মানুষের কাছে হাত পেতে চিকিৎসার খরচ চালিয়েছি। তবুও শেষ পর্যন্ত আমার ছেলেকে বাঁচাতে পারলাম না। প্রতিবেশীর হামলায় আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

’প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক মো. সোলাইমান জানান, গত ২৩ মে সন্ধ্যায় তার দোকানের সামনে সুজন ও প্রতিবেশী রোকনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রোকন ও জসীম তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং কিডনি প্রতিস্থাপনের স্থানে আঘাত করেন। এরপর থেকেই সুজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রতিবেশী জহুর মিয়ার ছেলে রোকন ও আব্দুল আলীর ছেলে জসীম উদ্দীনের হামলায় আহত হয়ে সুজনের এমন মৃত্যুতে মর্মাহত এলাকাবাসী।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর আমরা এলাকার মানুষ টাকা তুলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।

তার মা কিডনি দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিবেশীর হামলার পর সুজনের অবস্থা আবারও খারাপ হয়ে যায় এবং অবশেষে তার মৃত্যু হলো।’

বুড়িচং থানার ওসি আজিজুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পরিবারের অভিযোগের পর মৃতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন