• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

মিরপুরের অগ্নিকান্ডে নিহত খালিদের দাফন সম্পন্ন স্বজনদের আহাজারি


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:২৬ পিএম
মিরপুরের অগ্নিকান্ডে নিহত খালিদের দাফন সম্পন্ন স্বজনদের আহাজারি

রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে পোশাক কারখানা ও রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের তিনদিন পর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত হয়েছে বরগুনার যুবক খালিদ হাসান সাব্বিরের (২৯) মরদেহ। সোমবার সকালে তার নিজ বাড়িতে খালিদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠছে।

বরগুনা জেলায় মারা যায় খালিদসহ তিনজন। তারা হলো, বামনা উপজেলার মৃত ওমর ফারুকের মেয়ে মাহিরা আক্তার (১৪) আমতলী উপজেলার তারিকাটা গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে আল-মামুন (৩৮),বরগুনা সদর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম জোমাদ্দারের ছেলে খালিদ হাসান সাব্বির (২৯)। দুইজনের মরদেহ আগেই নিজ নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।

জানা যায়, ঢাকার মিরপুর রুপনগরের শিয়ালবাড়ি কেমিক্যাল গোডাউন ও আরএন ফ্যাশন পোশাক কারখানায় ১৪ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১ টায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত বরগুনার তিনজনসহ মোট ১৬ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) রূপনগর থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে স্বজনদের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাসাপাতাল মর্গে উপস্থিত মিরপুর বিভাগের রূপনগর থানার (পরিদর্শক তদন্ত) মোখলেসুর রহমানের তথ্য মতে মালিবাগ সিআইডি ফরেনসিক বিভাগ থেকে ১৬ জনের লাশের ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল তাদের কাছে হস্তান্তর করে।

সেই ফলাফল অনুযায়ী লাশের পরিবারকে জানানো হয়। স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে উপস্থিত হলে এক এক করে তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের বাবা মনিরুল ইসলাম জোমাদ্দার কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমাদের একমাত্র ছেলে আমাকে আর বাবা বলে ডাকবে না। আমার ছেলেটা মাত্র মাসখানেক আগে বরগুনা থেকে ঢাকায় গেল। মঙ্গলবার রাতে আগুন লাগার খবর শোনার পর থেকে আমার চোখে আর ঘুম নেই। হাসপাতালের মর্গে গিয়ে দেখি মরদেহগুলো এতটাই বিকৃত যে, নিজের সন্তানকেও চেনার উপায় নেই। শুধু ডিএনএ পরীক্ষার ভরসায় ছিলাম। এমন মৃত্যু যেন আর কারও সন্তানের যেন না হয়। ​খালিদের স্ত্রী বলেন, ওই দিন আমার সাথে তেমন কোনো কথা না হলেও মেসেজে দুই একবার 'হায় হ্যালো' হয়েছে। দুপুরের দিকে আমাদের এক পরিচিত লোক ফোন করে আমাকে জানায় ভাবী খালিদের পাশের ভবনে আগুন লেগেছে।

তারপরে খালিদকে আমি বার বার ফোন দেই। খালিদ আমার ফোন ধরে না। পরক্ষণে আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। ​শোকের মাঝে খালিদের ফুপা বলেন, খালিদ যে অফিসে চাকরি করেছে, আগুন লাগার ওই মুহূর্তে খালিদ তিন তলায় ছিল। আগুন লাগার খবর পেয়ে খালিদ নিচে আসলেও সে বের হতে পারেনি। কারণ মেইন দরজায় তালা লাগানো ছিল। তিনি আরও দাবি করে বলেন, আমাদের দাবি, কে বা কারা তালা লাগালো তা তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনা হোক। যারা এভাবে তালা দিয়ে কর্মীদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন