• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

মুহিব্বুল্লাহর ‘অপহরণ নাটক’—সিসিটিভি ফুটেজে যা যা দেখা গেল


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:০৫ পিএম
মুহিব্বুল্লাহর ‘অপহরণ নাটক’—সিসিটিভি ফুটেজে যা যা দেখা গেল

পঞ্চগড়ে উদ্ধার মুফতি মোহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজী (৬০) পায়ে শিকল লাগিয়ে নিজেই অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। আজ মঙ্গলবার মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) তাহেরুল হক চৌহান।

তিনি জানান, মুফতি মোহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজী নিজেই অপহরণ নাটক সাজিয়ে ছিলেন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেই পঞ্চগড়ে গিয়েছিলেন এবং ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন।

গত ২৩ অক্টোবর পঞ্চগড় থেকে পায়ে শিকল পরা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মুফতি মোহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজীকে। তিনি অপহরণ হয়েছিলেন দাবি করে পরদিন (২৪ অক্টোবর)  টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি মামলা করেন তিনি।  

মামলার এজহারে অভিযোগ ছিল, ২২ অক্টোর সকালে মর্নিং ওয়ার্কে বের হলে টঙ্গী-ঘোড়াশাল সড়কের টঙ্গীর শিলমন এলাকার এক্সেস লিংক সিএনজি ফিলিং অ্যান্ড কনভারশনের সামনে থেকে অপহরণ করে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে নেওয়া হয়। পরদিন সকালে পঞ্চগড় থেকে শিকল বাঁধা অবস্থা নিজেকে দেখতে পান তিনি।

হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে অপহরণ ও নির্যাতন করা হয় বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তিনি।

টঙ্গীর বিটিসিএল টিঅ্যান্ডটি কলোনির জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মহিব্বুল্লাহ এলাকায় মাওলানা মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মাদানী (৬০) নামেই বেশি পরিচিত। আজ পুলিশ জানাল, এ ঘটনার তদন্তে সিসি ফুটেজ পরীক্ষায় বেরিয়ে আসে অপহরণ নয়, ওই ইমাম নিজেই এই নাটক সাজিয়েছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার তাহেরুল হক চৌহান জানান, মামলার তদন্তকারী দল মুহিব্বুল্লাহর বাসা এবং ঘটনাস্থলের বিভিন্ন স্থানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ ও তথ্য প্রযুক্তির সংগ্রহ করে।

ফুটেজে ঘটনার ৩ ঘণ্টার মধ্যে কোনো অ্যাম্বুল্যান্স যেতে দেখা যায়নি। বরং তিনি নিজেই অটোতে করে যাচ্ছেন দেখা যায়।

তিনি আরো জানান, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ১১টার সময় তার অবস্থান ছিল ঢাকার সোবাহানবাগ এলাকায়। ঢাকার গাবতলী শ্যামলী কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে তিনি দুপুর ২টার বাসে পঞ্চগড়গামী বাসে ওঠেন। যাত্রাপথে মুফতি মুহিব্বুল্লাহর বাস বগুড়া জেলার শেরপুর থানাধীন পেন্টাগন হোটেলে যাত্রাবিরতি করলে তিনি বাস থেকে নেমে হোটেলে নামাজ পড়েন।

রাতে তিনি পঞ্চগড় গিয়ে নামেন। এ ঘটনায় ইমাম মুহিব্বুল্লাহর বাসের সহযাত্রী এবং বাসের সুপারভাইজারও পুলিশের হেফাজতে আছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তাহেরুল হক চৌহান বলেন, ‘ইতিমধ্যে ইমাম মুহিব্বুল্লাহ পুলিশের কাছে প্রকৃত ঘটনা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনাটি স্বীকার করে আদালতে আজ জবানবন্দি দেওয়ার কথা রয়েছে।’

তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলমান বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা ওই ব্যক্তির বক্তব্যের সত্যতা যাচাই-বাছাই করবে। একই সঙ্গে এ ঘটনার পেছনে অন্য কেউ জড়িত কি না বা কোনো অসৎ উদ্দেশ্য আছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন