শেরপুরে কাঁচা সড়কে জনদুর্ভোগ!ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ!
শুষ্ক মৌসুমে ধুলোবালি আর বর্ষা মৌসুমে কাঁদা বেহাল দশা সড়কের। যানবাহন তো দূরের কথা হেটে যাওয়ায় দুঃসাধ্য। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে এমন কাঁদা হয় জুতো পড়ে চলাচলের উপায় নেই! এমন চিত্র শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের একটি গ্রামীণ কাঁচা সড়কে। মরিচপুরান চৌরাস্তা বাজার থেকে ভোগাইপাড় হিন্দুপাড়া পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এই সড়কটি জনচলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও নেই সংস্কার। সড়কটি পাকা করার দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা জানান, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ৪-৫ শ মানুষের চলাচল হয়ে থাকে। সড়কের দুই পাশে রয়েছে বাজার, জামে মসজিদ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কবরস্থানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। শুষ্ক মৌসুমে ছোটখাটো যানবাহন চলাচল করলেও বর্ষাকালে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এই দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ভুক্তভোগীরা।
স্বপন আহমেদ, রেজাউল করিম, রুবেল, হাফিজুল ইসলাম, আকিকুল, সুরুজ মিয়াসহ আরো কয়েকজন বলেন, "আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। বৃষ্টি হলেই আমাদের চলাচল করা কষ্ট হয়ে যায়। ছেলেমেয়েরা স্কুল, কলেজে যেতে পারে না। রাস্তায় কাঁদা থাকায় আমরা গাড়ি দিয়ে বাজারে ধান নিতে পারিনা। জরুরী রোগী থাকলেও আমরা ভালো রাস্তা না থাকার হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি না। সরকার এই রাস্তাটা পাকা করে দিলে খুব ভালো হতো।"
অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী জাকির রানা বলেন, "রাস্তাটি বেশিরভাগ সময় কাঁদা হয়ে থাকে। আমাদের কলেজে যেতে অনেক সমস্যা হয়"
স্থানীয় মসজিদের ইমাম বলেন, "বর্ষা মৌসুমে কেউ মারা গেলে এই রাস্তা দিয়ে তার লাশ নিয়ে আসা কষ্টকর হয়ে পড়ে।"
অতিসত্বর সরকারিভাবে রাস্তাটি পাকা করার জোর দাবি জানান স্থানীয়রা। নালিতাবাড়ী উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া পিয়াল বলেন, "উপজেলার অনেক রাস্তায় এলজিইডির নম্বরে রয়েছে। এ মূহুর্তে কোন প্রকল্প নেই, নতুন প্রকল্প পেলেই কাজ করা হবে।"
দৈনিক পুনরুত্থান /
- বিষয়:
- শেরপুর
- কাঁচা সড়কে
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
আপনার মতামত লিখুন: