শেরপুরের নকলায় কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার-১
শেরপুর থেকে: শেরপুরের নকলায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীকে শারিরিক হেনস্তা মামলায় ফজলুর রহমান (২৫) নামে এক আসামী গ্রেপ্তার হয়েছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নকলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে নকলা থানা ও শেরপুর ডিবি পুলিশের একটি দল ডিএমপি'র আদাবর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফজলুকে গ্রেপ্তার করে। ফজলু নকলা উপজেলার ধুকুরিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ফজলুকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য গত ৫ নভেম্বর বেলা আনুমানিক আড়াইটার দিকে নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীর অফিসকক্ষে যান উপজেলা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম (৩৫)। ওই সময় বাইরে অপেক্ষা করছিলেন ফজলুর রহমান (২৫)।
কাইয়ুম কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীর কাছে কৃষি প্রণোদনা কোন কোন নেতাকে দেওয়া হয়েছে জানতে চান এবং তাঁকে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। কৃষি কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক বিষয়টি মোবাইল ফোনে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক খোরশেদুর রহমানকে জানালে কাইয়ুম ক্ষিপ্ত হয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে কৃষি কর্মকর্তার গালে থাপ্পর দেয়। পরে কাইয়ুম কৃষি কর্মকর্তাকে টেনেহিঁচড়ে অফিস কক্ষের বাইরে নিয়ে কাইয়ুম ও ফজলু মিলে মারধর করতে থাকলে আশপাশের লোকজন এসে কৃষি কর্মকর্তাকে উদ্ধার করেন।
কৃষি কর্মকর্তা উপজেলা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম ও ফজলুকে অভিযুক্ত করে নকলা থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে পুলিশ একটি নিয়মিত মামলা রুজু করে। এরপর থেকেই আত্মগোপনে চলে যায় কাইয়ুম ও ফজলু। পরদিন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল কাইয়ুমকে দলীয় পদপদবী ও সাধারণ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করে।
নকলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ হোসেন প্রতিনিধিকে জানান নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দায়ের করা মামলার আসামি ফজলুর রহমানকে ডিএমপি'র আদাবর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহজতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি রাহাত হাসান কাইয়ুমকে গ্রেপ্তারে সাড়াশি অভিযান চলছে।
দৈনিক পুনরুত্থান /
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
আপনার মতামত লিখুন: